কলকাতা: নীলবাড়ি দখলে কর্যত কোনও কসুর রাখেনি বিজেপি৷ দফায় দফায় দিল্লি থেকে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা৷ দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়তে ছুটে এসেছেন কেন্দ্রের তাবড় তাবড় নেতারা৷ শুধু তাই নয়, বাংলায় যত বেশি সংখ্যাক দফায় ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতরা৷ সেই আবেদনে আমল দিয়েই রাজ্যে ভোট হয় আট দফায়৷
আরও পড়ুন- বাংলার আকাশে সবুজ আবীর, নীলবাড়ি দখলের উচ্ছ্বাসে বিহ্বল তৃণমূল
অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশ নয়, বরং বাংলায় ভোটের দায়িত্ব সঁপা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ তারা বিজেপি’র হয়ে কাজ করছে বলেও দাবি করেছেন৷ অন্যদিকে, কমিশনকে ফুল মার্কস দিয়েছে বিজেপি৷ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছে, কমিশনের কাজে তাঁরা অত্যন্ত খুশি৷ বঙ্গে খুব ভালো ভোট হয়েছে৷ কোনও ভাবেই ভোট লুঠ করতে পারেনি তৃণমূল৷ তারা এককথায় প্রায় নিশ্চিত ছিলেন এবার ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া দল৷ বাংলার বুকে পদ্মের শিকড় যে গভীর হয়ে উঠছে সেই ইঙ্গিত রাজনীর আঙিনাতেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল৷ কিন্তু ২ মে ইভিএম বাক্স খুলতেই বদলাতে শুরু করল চিত্রনাট্য৷ টানটান উত্তেজনার মাঝে ক্রমশ উঁকি দিতে থাকল তৃণমূলের জয়ের আলো৷
এখন প্রশ্ন হল, প্রকাশ্যে কমিশনকে এত বড় সার্টিফিকেট দেওয়ার পর তাদের কাছে চুপচাপ পরাজয় স্বীকার ছাড়া, আর কোনও বক্তব্য থাকতে পারে কি? তারা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন একুশের বিধানসভায় কোনও ভোট লুঠ হয়নি৷ তাহলে একথা বলাই যায় বাংলার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই ভোট দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আর কমিশনকে আগাম সার্টিফিকিট দিয়ে বাংলায় প্রবেশের দরজা নিজেরাই প্রায় বন্ধ করে দিল গেরুয়া শিবির৷ এর পর আর কি এমন সুযোগ ফিরে আসবে বিজেপি’র হাতে? ফের এভাবে মরিয়া ঝাঁপ দিতে পারবে বাংলা দখলে?