থানার গাড়িচালক থেকে পঞ্চায়েত উপপ্রধান, চমকপ্রদ রাজনৈতিক উত্থান, কে এই ভাদু শেখ?

থানার গাড়িচালক থেকে পঞ্চায়েত উপপ্রধান, চমকপ্রদ রাজনৈতিক উত্থান, কে এই ভাদু শেখ?

বীরভূম:  সোমবার তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম৷ এই ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে পরপর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় মহিলা শিশু সহ ৮ জনের৷ তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তরাই এই নৃশংস গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ কিন্তু কে এই ভাদু শেখ? 

আরও পড়ুন- এলোপাথাড়ি কোপানের পর আগুন! ফরেন্সিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর মোড়

ভাদু শেখের জীবন ও তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ছিল গল্পকাহিনীর মতো৷ প্রথম জীবনে তাঁর পরিচয় ছিল থানার গাড়ি চালক৷ সেখান থেকে থানার ডাক মাস্টার৷ ১০ বছর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হন তিনি৷ ৫ বছর আগে তাঁকে উপপ্রধানের পদ দেওয়া হয়৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এক সময় ভাদু শেখের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন সোনা শেখ, পলাশ শেখ, নিউটন শেখরা৷ কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধেই ভাদুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে৷ গত জানুয়ারি মাসে খুন হন ভাদুর দাদা বাবর শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর জন্যেও দায়ী করা হয় সোনা শেখদেরই৷ তবে গ্রামবাসীদের একাংশ বলছে,  বালি খাদান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। তার জেরেই খুন হন ভাদু শেখ।  

 রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনা আরও একবার গোটা বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে৷ রাজনৈতিক বিরোধের জেরে রক্তের হোলি খেলা বাংলার বুকে এই প্রথম নয়৷ গত অর্ধ শতকে বারবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে গণহত্যার মর্মান্তিক খবর৷ লেখা হয়েছে কলঙ্কিত অধ্যায়৷ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে লেগেছে গণহত্যার দাগ৷ বস্তুত, ৭০ এর দশকে সূচনা হয়েছিল এহেন হিংসা আর গণহত্যার রাজনীতির৷ সেই ধারা আজও বহমান৷ গত দুই দশকে গণহত্যার বলি ৯১৷