রামপুরহাট: বগটুই কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। ফরেন্সিক রিপোর্টে চমক৷ সোনা শেখের বাড়িতে আগুন ধরানোর আগে এলোপাথাড়ি কোপ বসানো হয়েছিল। কুপিয়ে খুন করার পরোই আগুনে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়৷ সিটের তদন্তকারী দলকে মৌখিকভাবে এমনটাই জানিয়েছে ফরেনসিক দল৷
আরও পড়ুন- বগটুই কান্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত CBI, সিট-এর কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক রিপোর্টে জান গিয়েছে আগুন ধরার আগে রক্তে ভেসে গিয়েছিল ঘর৷ বিভিন্ন ঘর থেকে পোড়া রক্তের নমুনা খুঁজে পেয়েছেন ফরেন্সি বিশেষজ্ঞরা৷ পড়ে থাকা একটি লোহার রড থেকে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে বলেও খবর। উদ্ধার হয়েছে একটি প্লাস্টিকের জার৷ ঘরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে প্রথম আগুন লাগে বলেও জানাচ্ছে ফরেন্সিক রিপোর্ট।
এর আগেই প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, সোনা শেখকে শুধুমাত্র আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়নি, তার আগেও আক্রমণ চলেছে। গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে কোপানো হয়। তারপর পেট্রোল ঢেলে তাঁর দেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা। সিটে-র মৌখিক রিপোর্টেও উঠে এল সেই তথ্য৷ বুধবার দুপুরেই স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা মৌখিকভাবে সিটের তদন্তকারী অফিসারদের জানান, যে ঘরে দেহ উদ্ধার করা হয়, সেই ঘরের দক্ষিণ পূর্ব কোণেই প্রথম আগুন লেগেছিল। মৃতের মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত রয়েছে। ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মিলেছে চাপ চাপ পোড়া রক্তের দাগ৷ ফরেন্সিক বায়োলজিক্যাল এক্সপার্ট ইতিমধ্যেই সেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
পাশাপাশি লোহার রড থেকে আঙুলের ছাপ নিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ওই রডটি মারধরের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এছাড়াও যে প্লাস্টিকের জারটি উদ্ধার হয়েছে, সেটির মধ্যে সম্ভবত কোনও দাহ্য বস্তু ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>