বগটুইকাণ্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত CBI, সিট-এর কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

বগটুইকাণ্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত CBI, সিট-এর কাছে রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

কলকাতা: বগটুই-কান্ডে উত্তাল গোটা বাংলা৷ গণহত্যার আরও এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিটের হাতে৷ কিন্তু, সিবিআই কি তদন্তভার নিতে প্রস্তুত? কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, সিবিআই তদন্ত করতে প্রস্তুত৷  

আরও পড়ুন- SDPO-IC-র পর বগটুই কাণ্ডে ক্লোজড ১২ জন পুলিশকর্মী

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে বগটুই কান্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠেছে।  এদিন আদালতের পর্যবেক্ষণে সেই বিষয়টি আরও জোরাল হল। বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনায় এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ এই ঘটনায় আজ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে আদালত। সেই মামলার শুনানির সময় আদালতের সাফ নির্দেশ, উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। সেই সঙ্গে ডিজি, আইজিপি এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা জজের পরামর্শে স্থানীয় মানুষ,  প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনহারাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে তদন্তকারী সিট’কে বগটুই কান্ডের রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ হাইকোর্টর। বগটুইয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা গুরুতর অপরাধ বা সিরিয়াস ক্রাইম বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব৷ 

এদিন বগটুই মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “ এই ঘটনা নিশ্চিতভাবে জনমানসে প্রভাব ফেলছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। বিশদে তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করতে হবে।”  এই ঘটনার সমস্ত প্রমাণ সুরক্ষিত রাখতে হবে বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশ, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে সিসিক্যামেরা বসাতে হবে৷ যাতে সমস্ত ঘটনার রেকর্ড থাকে। সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (CFSL)-র উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সময়ের অপচয় নয়৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে হবে।  তবে পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না নিহতদের পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ তো  নীরব দর্শক। পুলিশ সঠিক তদন্ত করতে পারবে না৷ 

এদিকে, বগটুই কান্ডে মামলাকারীদের বক্তব্য, সিটের দুই সদস্য জ্ঞানবন্ত সিং ও সঞ্জয় সিংয়ের পূর্ব রেকর্ড রয়েছে। জ্ঞানবন্ত সিং নিজে একটি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন৷ অন্যদিকে, সঞ্জয় সিংকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছিল৷ এর পরেও কেন তাঁদেরি সিটে রাখা হল?