কলকাতা: বগটুইকাণ্ডে এসডিপিও, আইসি ছাড়াও ১২ জন পুলিশকর্মীকে ‘ক্লোজড’ করা হল৷ ডিআইবি এবং সিভিক পুলিশের ১২ জন কর্মী ক্লোজড৷ অর্থাৎ বগটুই-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে ক্লোজড করা হল৷
আরও পড়ুন- রাজ্যকে একটা সুযোগ! রামপুরহাট কাণ্ডে কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
গতকাল এসডিপিও রামপুরহাট এবং স্থানীয় থানার ওসিকে ক্লোজ করা হয়৷ এর পরেই শুরু হয় পুলিশের অভ্যন্তরীন বিভাগীয় তদন্ত৷ এবং তদন্তের পরেই সিভিক পুলিশ এবং ডিসট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (ডিআইবি)-র ১৪ জনকে ক্লোজড করা হয়৷ ডিআইবি-র কর্মীরা মূলত জেলার বিভিন্ন ঘটনা প্রসঙ্গে হেডকোয়াটারে উর্ধ্বতনদের খবর দেন৷ এক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন ডিআইবি অফিসারের গাফিলতির অভিযোগ স্পষ্ট ধরা পড়ে৷ তাঁদের চিহ্নিত করা হয় এবং ডিআইবি এবং সিভিক পুলিশ মিলিয়ে মোট ১২ জনকে ক্লোজড করা হয়৷ তবে তদন্তের এখানেই শেষ নয়৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত ছিল, বা কাদের কাদের গাফিলতি রয়েছে তার সবটা খুঁজে বার করা হবে৷
সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। ওই দিন বগটুই গ্রামে জাতীয় সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভাদু৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই৷ পর পর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ অগ্নদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের৷ এই ঘটনায় শোরগোল গোটা রাজ্যে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>