কলকাতা: বঙ্গ রাজনীতিতে বহিরাগত তরজা৷ এদিন কাঁথির জনসভা থেকে বহিরাগত তথ্যে তৃণমূলকে তুলোধোনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ বিষ্ণুপুরের জনসভা থেকে তারই জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- মমতাকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন অনুব্রত! দাবি ফিরহাদের, ভিডিও ভাইরাল
একুশের ভোটে তৃণমূলের হাতে অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে বহিরাগত তথ্য৷ বুধবার কাঁথির জনসমাবেশ থেকে বহিরাগত বাণেই তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, ‘‘দিদি এখানে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নয়৷ এই ভূমি বঙ্কিমচন্দ্রের, রবি ঠাকুরের, সুভাষচন্দ্র বোসের, মাতঙ্গিনী হাজরারা, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের৷ আমরা সবাই এই ভারতভূমির সন্তান৷ এই ভূমিতে কোনও ভারতবাসী বহিরাগত নয়৷’’ তাঁর কথায়, যে ব্যক্তিত্বদের ভূমি থেকেই স্বাধীন ভারতের মন্ত্র উচ্চারিত হয়েছিল, সেই ভূমিতে ভারতবাসিরা কেউ বহিরাগত হতে পারে না৷
মোদী আরও বলেন, এই ভূমি থেকেই গুরুদেব সকল ভারতবাসীকে এক মালায় গেঁথেছিলেন৷ রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ”পঞ্জাব ও সিন্ধু, গুজরাট ও মারাঠা – দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ। সেই বঙ্গে ভারতবাসীকে বহিরাগত বলা হচ্ছে, অপমান করা হচ্ছে৷ রবিঠাকুরের ভূমির মানুষ কাউকে বহিরাগত মনে করে না৷ তবে তিনি এও বলেন, বাংলার বিজেপি ক্ষমতার এলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি সামলাবেন বাংলারই ভূমিপুত্র৷
এর পরেই বিষ্ণপুরের জনসভা থেকে বহিরাগত কারা, তাঁর ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিকে আগে সম্মান করতাম৷ এখনও করি৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতো এত বড় মিথ্যেবাদী আমি কোথাও দেখিনি৷ বহিরাগত গুণ্ডা কারা? জবাব দিন প্রধানমন্ত্রী৷ তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, উত্তরপ্রদেশে বিজেপি’র অত্যাচারে আইপিএস অফিসাররা চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন৷ হাজার হাজার মেয়েকে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের বাবা-মায়েদের উপর অত্যাচার হয়েছে৷
আরও পড়ুন- BJP জিতলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? মেদিনীপুরে ঘোষণা মোদীর
তিনি আরও বলেন, সকলের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি৷ কৃষকরা দিল্লির রাস্তায় এক বছর ধরে পড়ে রয়েছে৷ রাস্তায় পেরেক পুঁতে দিয়েছে যাতে তাঁরা চলতে না পারে৷ বিজেপি’র তিনটে সিন্ডিকেট৷ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ আর আদানি৷ সমস্ত চাষের জমি, ফসল লুঠ করে নিয়ে যাবে আদানি৷
তাঁর কথায়, ভোটের আগে বহিরাগত গুণ্ডাদের বাংলায় নিয়ে আসা হচ্ছে৷ কারা এই বহিরাগত গুণ্ডা? এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলার অবাঙালিদের আমরা বহিরাগত বলি না৷ উত্তরপ্রদেশের যে গুণ্ডাগুলোকে এখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের বহিরাগত বলি৷ কপালে তিলক কেটে গেরুয়া পোশাক পরে বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে৷ বীরসা মুণ্ডার ছবি বলে কার গলায় মালা পড়িয়েছিল? এখানে মূর্তি ভাঙা হয়েছে৷ সে কথা কি বাঁকুড়ার মানুষ ভুলে গিয়েছে?