জেনেভা: করোনা ভাইরাসের বিশ্বজোড়া অতিমারীর কবল থেকে ধীরে ধীরে মুক্তির দিকে পা বাড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ভাইরাস পৃথিবীর বুকে যে বিপর্যয় নামিয়ে এনেছিল, তার মেঘ এখন অনেকটাই কেটে গেছে। করোনাকে দূর করতে বাজারে এসেছে একাধিক ভ্যাকসিন। অক্সফোর্ড, ফাইজারের পর এবার জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি ভ্যাকসিনকেও বাজারে নামার ছাড়পত্র দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
বিশ্বের বাজারে এবার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করবে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি করোনা ভ্যাকসিনও, এদিন এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দীর্ঘ দিন ধরেই এই আমেরিকান কোম্পানির তৈরি কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল। অবশেষে একে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকরী ঘোষণা করেছে হু। জানা গেছে, মূলত পিছিয়ে পড়া দেশ যেখানে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল সেই সমস্ত দেশে বেশি কার্যকরী হবে এই নতুন করোনা ভ্যাকসিন। এই নিয়ে তৃতীয় কোনো ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েছে। এর আগে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফাইজার কোম্পানির তৈরি করোনা টিকাকে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে হু।
আরও পড়ুন- সিপিএম এবার ‘হাতিয়ার’ করল লুঙ্গি ডান্সকে! টুম্পার পর নতুন প্যারোডি গান
জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির তৈরি নয়া কোভিড ভ্যাকসিন অন্যান্য ভ্যাকসিনের চেয়ে খানিক আলাদা। এই প্রথম কোনো ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে একটিমাত্র ইনজেকশনের।এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল তেদ্রস আদানম ঘেব্রেয়ুস জানিয়েছেন, “করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিটি নতুন, নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিনের আবিষ্কারই অতিমারী মুক্তির পথে এক পা এগিয়ে দিতে সাহায্য করে।” তবে বিজ্ঞানীদের বহু প্রচেষ্টায় আবিষ্কৃত এই সমস্ত ভ্যাকসিন যাতে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারে সেই বিষয়টিতেও জোর দিতে বলেছেন হু অধিকর্তা। উল্লেখ্য, জনসন অ্যান্ড জনসনের এই ভ্যাকসিনের কেবলমাত্র একটি ডোজই করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট, জানিয়েছেন ভ্যাকসিন নির্মাতারা। বর্তমানে ভারতে সিরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং ভারত বায়োটেক নির্মিত ভ্যাকসিনের টিকাকরণ চলছে।