কলকাতা: মূলত যান শাসন ও মেলা-পার্বণে ভিড় সামলানোই রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিযারদের কাজ৷ সংশ্লিষ্ট থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দেরই সিভিক পুলিশ হিসাবে নিয়োগ করা হয়৷ ২০ থেকে ৩০ বছরের যুবকরা সিভিক পুলিশ পদের জন্য আবেদন করতে পারেন৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম আন্দোলন কি তবে পুরোটাই গট আপ? তাহের-বক্তব্যে নতুন বিতর্ক!
২০১৪ সালে সিভিক পুলিশ নিয়োগের সময়েই বলা হেয়েছিল জেলা স্তরে কমিটি তৈরি করে সিভিক পুলিশ ভলান্টিয়ার্স বাছাই করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক পাশ হলেই হবে৷ এছাড়াও আবেদনকারীকে স্কুল বা ক্লাব স্তরের খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে৷ আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনও থানার কোনও ক্রিমিনাস রেকর্ড থাকা যাবে না৷ এবং তাঁকে মেডিক্যালি ফিট হতে হবে৷
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের একটি ট্রেনিং দেওয়া হয়৷ সংশ্লিষ্ট পুলিশ লাইনে ১০ দিনের একটি ট্রেনিং কোর্স থাকে৷ পাশাপাশি পুলিশ লাইনে প্রতি মাসে একদিন করে রিপ্রেসার কোর্সও করানো হয়৷ এই কর্সের পর তাঁদের ট্রাফিক গার্ড বা পুলিশ স্টেশনে নিয়োগ করা হবে৷
কী ধরনের ডিউটি করতে হয় তাঁদের?
• ট্রাফিক পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পুলিশকে সহায়তা করবে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা।
• যে কোনও বড় উৎসবে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য পুলিশকে সহায়তা করা৷
• অথরাইজড গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে পুলিশকে সাহায্য করা৷
• জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশকে সহায়তা করা৷
• সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান জনসাধারণের সহায়তার সঙ্গে সম্পর্কিত যে কোনও দায়িত্ব দিতে পারে সিভিক ভলেন্টিয়ার্সদের৷
প্রথম দফায় কলকাতা-সহ রাজ্যের পাঁচটি নতুন কমিশনারেটে ৫১০০ জন সিভিক পুলিশ নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল অর্থ দফতর৷ সেই সময় অবশ্য আপত্তি জানিয়েছিলেন একাধিক পুলিশকর্তা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, সিভিক পুলিশের পিছনে বিপুল অর্থ খরচ করা হলেও আখেরে বাহিনীর লাভ হচ্ছে না।