নন্দীগ্রামে শুরু ‘মেগা ফাইট’, মমতা না শুভেন্দু? ইভিএম-এ শুরু ভাগ্যবন্দীর ‘খেলা’

নন্দীগ্রামে শুরু ‘মেগা ফাইট’, মমতা না শুভেন্দু? ইভিএম-এ শুরু ভাগ্যবন্দীর ‘খেলা’

নন্দীগ্রাম: কড়া নিরাপত্তা বলয়ের নন্দীগ্রামে শুরু ভোটগ্রহণ পর্ব৷ বুথে বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বাম জমানার শেষ দিক থেকেই  ভোট ময়দানে ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল এই কেন্দ্র৷ আর একুশের ভোটে সবচেয়ে বেশি হাইপ্রোফাইল হয়ে উঠেছে রাজ্যে পালাবাদলের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে ওঠা এই নন্দীগ্রাম৷  এই কেন্দ্রে একদিকে লড়ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে রয়েছে ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী৷ গোটা রাজ্যের নজর এখন এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর মেগা ফাইটের দিকে৷ 

প্রসঙ্গত, মমতা-শুভেন্দু ছাড়া আজ ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে মোট  ১৭১ জন প্রার্থীর৷ ভোট হচ্ছে গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, খড়্গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, কেশপুর, তালড্যাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া,  বিষ্ণুপুর, ওন্দা, কোতুলপুর, ইন্দাস এবং সোনামুখী কেন্দ্রে৷ 

এদিকে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছেন এখানে বাহিরাগত গুণ্ডা নিয়ে এসেছে বিজেপি৷ গতকাল এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে ব্যাগ ভর্তি বোমাও উদ্ধার করা হয়৷ অন্যদিকে পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি৷ অভিযোগ, নন্দীগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের গুণ্ডারা৷ কমিশনের নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না৷ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করাটা কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ 

আরও পড়ুন- মমতা-শুভেন্দুর তুলনায় মীনাক্ষীর নিরাপত্তা ‘ঢিলেঢালা’, কমিশনে অভিযোগ লালের

এদিকে শুধু বহিরাগত গুণ্ডা আনা নয়৷ টাকা বিলি করার অভিযোগও তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথ স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ অন্যদিকে গতকাল কেশপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ এদিকে আজ কেশপুরেই এক বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ যদিও সে দাবি অস্বীকার করেছে শাসক দল৷ 

প্রথম দফায় যে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলি ঘটেছিল, দ্বিতীয় দফায় সেগুলি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে৷ নাকা চেকিং থেকে, নাইট পেট্রোলিং সব কিছু বাড়ানো হয়েছিল৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল৷ তা সত্ত্বেও খুনের ঘটনা ঘটল৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *