‘ইউক্রেনে পরমাণু হামলার প্রয়োজন হবে না, গুজব রটাচ্ছে আমেরিকা’, ঘোষণা পুতিনের

‘ইউক্রেনে পরমাণু হামলার প্রয়োজন হবে না, গুজব রটাচ্ছে আমেরিকা’, ঘোষণা পুতিনের

c6bc8eabb76535765446969e6d20f139

মস্কো:  ইউক্রেনকে পর্যুদস্তু করতে যে কোনও সময় পরমাণু হামলা চালাতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ যুদ্ধের ময়দানে তিনি যে কড়া পদক্ষেপ করতে পিছু পা হবেন না, সেই ইঙ্গিতও বহুবার দিয়েছেন৷ তাঁর এই হুঁঙ্কারেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক মহল৷ কিন্তু সমীকরণ বদলে পুতিন ঘোষণা করলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হবে না৷ রাজধানী মস্কোয় আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের একটি সভায় তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমি মনে করি, তার প্রয়োজনও হবে না।’’

আরও পড়ুন- টুইটার কিনে নিলেন ইলন মাস্ক, অধিগ্রহণের পরেই ছাঁটাই সিইও পরাগ

অথচ ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে গত বুধবার থেকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া শুরু করেছে রুশ সেনা। সে দেশের পরমাণু অস্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’-এর সেই মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন খোদ প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএ একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে রুশ প্রেসিডেন্টকে টেলিভিশনের পর্দায় পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুতিনের মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। তাঁরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখেই হয়তো পরমাণু হামলার বিষয়ে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছেন পুতিন৷ 

ওই আলোচনাসভা থেকে আমেরিকা এবং তার সহযোগী দেশগুলিকে এক হাত নেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনকে ঘিরে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি এক বিপজ্জনক খেলা খেলছে।’’ নিরপেক্ষ দেশগুলিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উস্কে দেওয়ার জন্যেই বার বার পরমাণু হামলার আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, ‘‘আমরা এক বারও পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলিনি।’’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণার করেন পুতিন৷ তার পর থেকে এই প্রথম রুশ ‘নিউক্লিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স’-এর মহড়া করা হয়। এর আগে অবশ্য স্থল এবং ডুবোজাহাজ থেকে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে পুতিনের ফৌজ। সম্প্রতি কয়েকটি পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটো এবং ইউক্রেনের উপর চাপ বাড়াতে কৃষ্ণসাগরের গভীরে পরমাণু বোমা পরীক্ষা করতে পারেন পুতিন। বুধবার পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়ার পর সেই সম্ভাবনা আরও প্রবল হল বলেই মত সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের৷ 

এদিকে, জপোরিজিয়া, খেরসন-সহ বেশ কিছু এলাকায় গত ১০ অক্টোবর থেকে নতুন করে হামলা শুরু করেছে রুশ সেনা। সামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর আঘাত হানার পাশাপাশি নির্বিচারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাতেও৷