লখনউ: করোনার দাপটে দিশেহারা গোটা দেশ৷ দোসর হয়ে দেখা দিয়েছে অক্সিজেনের সঙ্কট, ভ্যাকসিনের আকাল৷ কোউইন অ্যাপে বারবার চেষ্টা করেও মিলছে না টিকাকরণের স্লট৷ সেই দেশেরই এক প্রান্তে দেখা গেল ভিন্ন ছবি৷ যেখানে কিনা স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে পৌঁছে টিকা দিতে চাইছেন আর ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছে গ্রামবাসীরা৷ হ্যাঁ, এমনই ছবি ফুটে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবনকি গ্রামে৷
আরও পড়ুন- টিকা কেন্দ্রে নাম লেখালেই ভ্যাকসিন পাবেন ১৮ উত্তীর্ণরা, নয়া অনুমতি কেন্দ্রের!
যোগী রাজ্যে করোনা পরিস্থিতিত এমনিতেই সঙ্কটজনক৷ তার মধ্যে গ্রামবাসীদের মনে টিকা নিয়ে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক৷ বেশ কিছু দিন ধরেই ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোড় প্রচার চালানো হচ্ছে গ্রামে গ্রামে৷ কিন্তু বারাবকি গ্রামের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিয়েছেন মাত্র ১৪ জন৷ গ্রামবাসীদের মধ্যে টিকা নেওয়ার এই অনীহা দেখার পর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, স্বাস্থ্যকর্মীরাই গ্রামে গিয়ে টিকা দেবেন৷ কিন্তু তাঁরা গ্রামে টিকা দিতে পৌঁছনোর পরই ঝামেলার সূত্রপাত৷ শতবার বোঝানোর পরেও টিকা নিতে নারাজ গ্রামের মানুষ৷ রীতিমতো স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে তাদের৷ এমনকী পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে ইঞ্জেকশনের ভয়ে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা সরযূ নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন কেউ কেউ! মাঝ নদীতে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন অনেকেই!
আরও পড়ুন- এবার ছত্তিশগড়েও কোভিডের সার্টিফিকেটে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি
কিন্তু এত ভয় কীসের? গ্রামবাসীদের দাবি, ভ্যাকসিনের মধ্যে বিষ মেশানো আছে৷ গ্রামের কিছু মানুষ নাকি এই বিষয়ে সকলকে সচেতন করে দিয়েছে৷ বিষ মেশানো এই টিকা নিলেই মৃত্যু অনিবার্য৷ সে কারণেই ভ্যাকসিনের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন তাঁরা৷ রামনগর তহশিলের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার শুক্লা বলেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক৷ করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বারবার প্রচার করার পরেও মানুষের মনে এই ভয়ের সঞ্চার হচ্ছে৷ তাঁরা ভুল বুঝছেন৷ গ্রামবাসীরা মনে করছেন, টিকা নিলেই তাঁদের মৃত্যু নিশ্চিত৷