নয়াদিল্লি: লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার বাড়বাড়ন্তে প্রায় বাজারে মেলা মুশকিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়েও হতাশ হতে হচ্ছে আমজনতাকে৷ এমনকি ভ্যাকসিনের সংখ্যা কম থাকার কারণে এখনও পর্যন্ত বহু রাজ্যেই ৪৫ বছরের নীচে ভ্যাকসিন দেওয়াই সম্ভব হয়নি৷ এমনকি অনেকেই করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়ে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু কবে মিলবে টিকা? তার উত্তর এখন অধরা। কিন্তু করোনা টিকা নিয়ে চলতে থাকা চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় সরকার অন-সাইট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য টিকাকরণের অনুমতি দিয়েছে।
আপাতত এই সুবিধা কেবলমাত্র সরকার পরিচালিত সিওভিড-১৯ টিকা কেন্দ্রগুলিতে মিলবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক৷ ভ্যাকসিন সরবরাহের ঘাটতির কারণে বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে মধ্যবয়সীদের জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু আশা করা হচ্ছে, এবার শীঘ্রই মিলবে সমাধান।
শনিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মীরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকা দিতে পারবেন। এমনকি, ওই কর্মীর উপর নির্ভরশীল এমন ব্যক্তিকেও দেওয়া যাবে করোনা টিকা। তবে এই নির্দিষ্ট গ্রুপের টিকাকরণের ক্ষেত্রে সরকার কিছু নির্দেশিকাও জারি করেছে৷ অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করা কোনও ব্যক্তিরা যদি টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট দিন উপস্থিত না থাকেন, সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের অপচয় রুখতে টিকা কেন্দ্রে স্বশরীরে নাম লেখানো যে কোনও ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷