কলকাতা: শুরু থেকেই ক্রিকেট বিশ্বে দাপট ছিল পুরুষদের৷ কিন্তু ধীরে ধীরে মহিলা ক্রিকেটের পালেও যেন হাওয়া লেগেছে৷ একটা সময় ছিল, যখন দেশের হাতগোনা মানুষ মহিলা ক্রিকেটারদের চিনতেন৷ এখন মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামী থেকে হালফিলের হরমনপ্রীত কৌর, শেফালি ভর্মা, স্মৃতি শ্রীনিবাস মান্ধনাদের কে না চেনে৷ এবার মেয়েদের ক্রিকেটে ভারতের মুকুটে জুড়তে চলেছে সাফল্যের নতুন পালক৷
আরও পড়ুন- বিদায় ‘টেনিস সুন্দরী’, সাফল্য, ব্যর্থতা, বিতর্ক ঘিরেই সানিয়ার টেনিস জীবন
এই বছর প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তাতে ফাইনালে পৌঁছে গেল শেফালি ভার্মার ওমেন ইন ব্লু। নিঃসন্দেহে যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়৷ আজ পচেস্ট্রুমে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং নিউজিল্যান্ড৷ ওই ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতে ফাইনালের টিকিট পাকা করে নেন শ্বেতা-শেফালিরা। তাঁদের সামনে আর মাত্র একটা ম্যাচ৷ সেটা জিততে পারলেই মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি চলে আসবে ভারতের ঘরে।
টসে জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক৷ শুরু থেকেই বল হাতে দাপট দেখান ভারতের বোলাররা। মাত্র ৫ রানের মাথায় জোড়া উইকেট হারাতে হয় নিউজিল্যান্ডকে। কিউয়িদের সর্বাধিক রান (৩৫) আসে জর্জিয়া প্লিমারের ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবথেকে বেশি উইকেট (৩টি) শিকার করে পরশভি চোপড়া। ভারতীয় বোলারদের দাপটের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে কিউয়িরা। তবে পুরো ২০ ওভারই ক্রিজে টিকেছিলেন তাঁরা৷ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ১০৭ রান৷ ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট নেন অর্চনা দেবী, শেফালি ভার্মা, মন্নত কশ্যপ এবং তিতাস সাধু।
১০৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামেন শেফালি-শ্বেতারা৷ শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটাররা৷ তবে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে চতুর্থ ওভারের মাথায় অধিনায়ক শেফালির উইকেট হারায় ভারত। ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন শেফালি। তবে সহ-অধিনায়ক শ্বেতা শেরাওয়াত ৬১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ফাইনালে তোলেন৷ এছাড়াও সৌম্যা তিওয়ারি ২২ রান করেন। ১৪.২ ওভারেরই ১১০ রান তুলে জিতে যায় ভারত৷ পৌঁছে যায় ফাইনালে৷