কিয়েভ: যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইউক্রেন৷ রাশিয়ার সামরিক অভিযান ৩০০ দিন পেরনোর পরেও যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিত নেই৷ এরই মধ্যে আমেরিকা সফরে গিয়েছেন ইউক্রেমের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি৷ অন্যদিকে, দক্ষিণ খেরসনের পর পূর্ব সীমান্তের ডনেৎস্ক শহর রুশ সেনার হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে নতুন করে অভিযানে নেমেছে ইউক্রেন বাহিনী৷ রাজধানী কিয়েভে ধারাবাহিক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হানার মধ্যেই বুধবার ডনেৎস্কে পাল্টা আঘাত হানে ভলোদিমির জেলেনস্কির সেনা। সেখানেই ইউক্রেন সেনার গোলাবর্ষণে গুরুতর জখম হন রুশ প্রশাসনের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
আরও পড়ুন- কোভিডে আক্রান্ত ১০ কোটিরও বেশি, মৃত্যুও বিশ্বের মধ্যে সর্বাধিক এই দেশে
রুশ সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন ডনেৎস্ক শহরের একটি হোটেলে বসেই বৈঠক করছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম উপদেষ্টা তথা সে দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি রোগোজিন। সেই সময় আচমকাই আছড়ে পড়ে ইউক্রেন সেনার গোলা৷ তার আঘাতেই গুরুতর জখম হন রোগোজিন এবং মস্কো স্বীকৃত ‘সার্বভৌম’ ডনেৎস্ক পিপল্স রিপাবলিকের মুখ্য প্রশাসক ভিতালি খোটসেঙ্কো।
এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বুধবারই রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে অস্ত্র-সাহায্যের আবেদন নিয়ে আমেরিকা সফরে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তাঁর অনুপস্থিতির মধ্যেই ডনেৎস্কে ইউক্রেন সেনার এই প্রত্যাঘাত সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, রুশ অধিকৃত ডনেৎস্ক অঞ্চলের সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন রাশিয়ার প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>