কলকাতা: দু’জনের বিধানসভায় জয়ী প্রার্থী৷ কিন্তু দু’জনেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে পৌঁছলেন বিধান সভায়৷ তাঁর হলেন জগন্নাথ সরকার ও নিথীশ প্রামাণিক৷ দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- আগামী ২০ বছরের জনসংখ্যার নিরিখে কৃষি নীতির ভাবনা! দায়িত্ব নিয়েই বললেন শোভন
এদিন জগন্নাথ সরকার বলেন, সাংসদ পদে থেকে বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নামতে বলেছিল দল৷ কিন্তু একটি পদ ছাড়তেই হবে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার কথা বলেছি৷ তবে সাংসদকে বিধায়ক পদে দাঁড় করানো দলের দুর্বলতা বলে মানতে নারাজ জগন্নাথবাবু৷ তাঁর কথায়, আমরা আশানুরূপ জায়গায় পৌঁছতে পারিনি ঠিকই৷ তবে আমাদের দলের অনেকটাই বৃদ্ধি ঘটেছে৷ আমরা আগে ৩ জন বিধায়ক ছিলাম৷ তার মধ্যে একজন পদত্যাগ করে সাংসদ হয়েছেন৷ সে কারণেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কিছু সাংসদকে বিধানসভায় লড়াই করার জন্য দলের তরফে বলা হয়েছিল৷ দলের ইচ্ছাতেই ইস্তফা বলেও জানান জগন্নাথ সরকার৷
অন্যদিকে, দলের জেতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নিশীথ প্রমাণিক বলেন, ক্ষমতায় এলে কী হল, আর কি হতো না সেটা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলতে পারবে৷ আমরা তাঁদের নির্দেশেই নির্বাচনে লড়াই করেছি৷ তবে বলতে পারি, সাংগঠনিক পরাজয় আমাদের নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের৷ নির্বাচনে জেতার পরেও, যেহেতু আমাদের দুটি সাংবিধানিক পদ, তাই দলের নির্দেশে এবং সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে একটি পদ থেকে ইস্তফা দিতেই হতো৷ তবে বাংলার মানুষ অবাক করা দৃষ্টান্ত দেখছে৷ পরাজিত হয়েও এক জন প্রার্থী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন৷ এই ইতিহাস আগে বাংলায় হয়নি৷
একুশের বিধানসভা ভোটে যে চার সাংসদকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে বাকি দু’জন হলেন হুগলীর সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়৷ তবে লকেট এবং বাবুল দু’জনেই পরাজিত হয়েছেন৷ মান রেখেছিলেন নিশীথ এবং জগন্নাথ৷ দিনহাটা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহকে হারিয়ে জয়ী হন নিশীথ প্রামানিক আর শান্তিপুর থেকে জয়ী হন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার৷ ভোটে জিতলেও বিধানসভায় গিয়ে বিধায়ক হিসাবে শপথ নেননি তাঁরা কেউই৷ কারণ শপথ নিলেই দু’ সপ্তাহের মধ্যে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে তাঁদের৷