কলকাতা: তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইস্তেহারে প্রকাশিত হল দলের ১০ অঙ্গীকার৷
আরও পড়ুন- বছরে ৫ লাখ কর্মসংস্থান, কৃষকদের বার্ষিক ১০ হাজার টাকা! ইস্তেহারে তৃণমূল
এদিন ইস্তেহার ঘোষণার শুরুতেই তিনি বলেন, তৃণমূল সরকারের কাজ সারা দুনিয়ার নজর কেড়েছে৷ ১০ বছরে ১১০ শতাংশ কাজ করা হয়েছে৷ ১০০ দিনের কাছে সারা ভারতে এক নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ ক্ষুদ্রশিল্পেও ভারতের মধ্যে প্রথম বাংলা৷ ক্ষুদ্রশিল্পে লক্ষ লক্ষ মানুষের চাকরি হয়েছে৷ সবচেয়ে বেশি চাকরি সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার৷ লকডাউন এবং নোটবন্দীর ফলে যখন সারা ভারতে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব বেড়েছে, তখন বাংলায় ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমেছে৷ মানুষের উপার্জন বেড়েছে৷ কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে৷ লকডাউনে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারকে খাদ্য ও তাদের কাজের বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷
এবার তৃণমূলের ইস্তেহারে জোড় দেওয়া হয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, বেকারত্ব, যুবসমাদের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায় সুরক্ষা, অর্থনীতি, খাদ্য সুরক্ষা, শিল্প এবং কৃষির উপর৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে আমরণ পাশে খাকত৷ এটাই আমার অঙ্গীকার৷ একুশের নির্বাচনী ইস্তেহারে কী প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল দেখে নেওয়া যাক-
• দুয়ারে রেশন- রাজ্যের প্রতিটি পরিবারকে বাড়িতেই রেশন সরবরাহ৷
• শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন- শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো৷ প্রতিটি ব্লকে একটি করে মডেল আবাসিক স্কুল এবং প্রত্যেক জেলা সদরে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করা হবে৷
• বাংলার শহরাঞ্চলে ২৫০টি মা ক্যান্টিন৷ (৫ টাকায় খাবার)
• ৫ বছরে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের মাত্রা
• বার্ষিক ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা
• ছাত্র-যুবর উন্নয়নে তাদের স্বাবলম্বী করতে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প (১০ লক্ষ ক্রেডিট লিমিট, ৪ শতাংশ সুদে, জামিনদার রাজ্য সরকার)
• কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন- ৬৮ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে সাহায্য৷ একর পিছু বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সহায়তা৷
• প্রতিটি পরিবারের ন্যূনতম মাসিক আয় নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রকল্প৷
• ১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারকে মাসে ৫০০ টাকা করা সাহায্য (বছরে ৬ হাজার টাকা)
• তফশিলি পরিবারকে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে৷
• ৪৭ লক্ষ পরিবারকে নলযুক্ত পানীয় জল৷
• বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ২৫ লক্ষ স্বপ্নমূল্যের আবাসন তৈরি করা হবে৷
• যে কোনও বয়সের, ধর্মের বিধবা ও প্রতিবন্ধী মানুষদের ভাতা দেওয়া হবে৷
• দুয়ারে সরকার বছরে চারবার
• ১০ লক্ষ ক্ষুদ্র শিল্প
• ওবিসি তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স৷
• পাহাড়ে স্পেশাল ডেভলপমেন্ট বোর্ড গঠন
আরও পড়ুন- দলীয় কর্মীকে ‘ঠান্ডা মাথায় খুন’, অনুব্রতর বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, লকডাউনের ফলে অনেক কাজ করে ওঠা যায়নি৷ দোকানপাট বন্ধ ছিল৷ শিল্প-কারখথানা বন্ধ ছিল৷ আমরাও তার থেকে বাদ যাইনি৷ আমাদেরও আয় কমেছে৷ তা সত্বেও বাংলার রাজস্ব আদায় অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বেশি৷ এবার বাজেটে ব্যয় বরাদ্দ ৩ গুন বেড়ে ২. ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে৷ বাংলার মানুষের মাথাপিছু গড় আয় ২ গুণের বেশি বেড়েছে৷ পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি হিসাবে বাংলাকে গড়ে তোলা ও ৩৫ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র থেকে উদ্ধার করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে৷ বার্ষিক পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে৷ পাশাপাশি যুবশ্রী থেকে কন্যাশ্রী, সরকারের প্রতিটি প্রকল্পই চলবে৷