কলকাতা: বঙ্গ ভোটে এবার শুরু টেপ তরজা৷ প্রথম দফা ভোটের মধ্যেই বোমা ফাটিয়ে একটি অডিও প্রকাশ করে বিজেপি৷ যেখানে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামের এক বিজেপি নেতার কাছে সাহায্য চাইতে শোনা যায়৷ এই অডিওকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ এবার তারই পাল্টা জবাবে মুকুল রায় এবং শিশির বাজোরিয়ায় কথোপকথনের টেপ প্রকাশ করল তৃণমূল৷ ইস্যু- বুথ এজেন্ট৷
আরও পড়ুন- ‘নন্দীগ্রামে আমি ভোট দেব, আপনি নয়’, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার জন্য কী ভাবে নোট তৈরি করা হবে, সে বিষয়ে মুকুলবাবু ফোন করে শিশিরবাবুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ সেখানে মুকুল রায়কে বলতে শোনা যায়, প্রতিটি বুথে স্থানীয় এজেন্ট দিতে হলে আমরা বহু বুথেই এজেন্ট দিতে পারব না৷ ফলে নিয়মটাকেই বদলে দিতে হবে৷ যার ফলে বাইরের লোককে বুথে বসানো সম্ভব হবে৷ এর পরেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করে৷ এবং সেই নির্দেশিকায় বিজেপি’র আবদার মেনে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয় গেরুয়া দলকে৷ বহিরাগতদের নিয়ে আসার ছাড়পত্র তুলে দেওয়া হয় বিজেপি’র হাতে৷ সর্বদলীয় বৈঠক ছাড়া কী ভাবে এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুণাল৷ অভিযোগ, কমিশনের সমস্ত সিদ্ধান্তই বিজেপি’র পক্ষে নেওয়া হয়েছে৷
তিনি বলেন, কী ভাবে আগাম শলা-পরামর্শ করে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করে নিজেদের পক্ষে নির্বাচনের পরিকাঠামোকে আনা যায়, বিজেপি’র সেই প্রয়াসের প্রমাণ স্বরূপ এই টেপ তুলে ধরে হয়েছে৷ যেখানে শিশির বাজোরিয়াকে ফোনে স্পষ্ট নির্দেশ দিতে শোনা গিয়েছে মুকুল রায়কে৷
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, এটি সৌজন্যমূলক একটি টেপ৷ সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাবার কোনও কারণ নেই৷ তৃণমূল নেত্রীকে বলা হয়েছিল দলের এক কর্মী ক্ষোভে, অভিমানে চলে গিয়েছেন৷ তাঁকে ফোন করলে তিনি আবার ফিরে আসবেন৷ সে কারণেই ফোন৷ ছোট বড় কোনও ইগো না রেখেই নেত্রী ফোন করেছিলেন৷ কিন্তু সেটাকে জঘন্যভাবে দেখানো হল৷ এটাকে যদি তৃণমূলের দুর্বলতা হিসাবে তুলে ধরা হয়, তাহলে মুকুল রায় ও বাজোরিয়ার কথোপকথনের টেপ নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার জন্য বিজেপির ষড়যন্ত্র বলেই প্রতিষ্ঠিত হয়৷
আরও পড়ুন- স্বর্গীয় মাকে টেনে ভোটের মঞ্চে আবেগ মমতার! চাইলেন ভোট
তাঁর চ্যালেঞ্জ, টেপের প্রতিযোগিতা যদি চলতে থাকে, তাহলে প্রতিযোগিতা হোক৷ ওঁরা একটা দিলে আমরা পাঁচটা দেব৷ বোমা ফাটিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি’র এক বিশিষ্ট নেতা কয়েক মাস আগে তৃণমূলে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন৷ তিনি দক্ষিণ কলকাতায় কার বাড়িতে কখন গিয়ে মিটিং করেছেন সেই ছবিগুলোও তাহলে প্রকাশ্যে আনা হবে৷ যেগুলো ভদ্রতার খাতিরে এতদিন দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনি আমরা৷