‘নন্দীগ্রামে আমি ভোট দেব, আপনি নয়’, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

তোষণের রাজনীতি দিয়ে ভোট জেতা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি

55d515724f08bfcd0e483649a8fd6b5c

নন্দীগ্রাম: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। নিজের প্রাক্তন দলনেত্রীর বিরুদ্ধে এই কেন্দ্র থেকেই এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল এবং প্রাক্তন তৃণমূলের এই দ্বন্দ্ব রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।

এদিন নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের দাউদপুর আর মহম্মদপুর থেকে নির্বাচনী জনসভা করেন গেরুয়া প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে এক হাত নেন তিনি। স্পষ্টই জানান, “আমি নন্দীগ্রামেই ভোট দেবো, আপনি এখানে ভোট দিতে পারবেন না।” কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হলেও নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে নিজের জন্য নতুন করে ভোটার কার্ড বানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে এখন তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে ভোট দেবেন আগামী ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে।

ভোটের প্রচারে এদিন মেদিনীপুরে সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনিও তীব্র আক্রমণ শানান “বিশ্বাসঘাতক” প্রাক্তন সৈনিকের বিরুদ্ধে। প্রচুর টাকা করেছেন, তাই জন্যেই অন্য দলে পালিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীসহ মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার, এমনটাই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন ঘাসফুল নেত্রীর বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, “উনি তোষণের রাজনীতি করেন। প্রতিবছর ঈদের দিন মুসলমানরা না চাইলেও নামাজ পড়েন।” এভাবে ভোট ব্যাঙ্ককে প্রভাবিত করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীও যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে, যা নিয়ে এখনো জারি রয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। তাঁরা ছিলেন বলেই গত লোকসভায় কাঁথি তমলুকে জিতেছে বিজেপি, জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *