কলকাতা: প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে বইছিল ক্ষোভের হাওয়া৷ টিকিট না পেয়ে কেউ বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন, কেউ বা অভিমানে দল ছেড়েছেন৷ কেউ আবার প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন৷ অনেক জায়গায় উঠেছিল প্রার্থী বদলের দাবি৷ এবার চার কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করল তৃণমূল কংগ্রেস৷ নদীয়, উত্তর ২৪ পরগণা ও বাঁকুড়া জেলার মোট চারটি আসনে প্রার্থী বদল করল দল৷
আরও পড়ুন- সিংহের খাঁচায় ঢুকে জখম ব্যক্তি! ফের প্রশ্নের মুখে চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা
নদীয়ার কল্যাণীতে প্রার্থী করা হল অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে৷ আগে এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস৷ অশোকনগরে প্রার্থী করা হল নারায়ণ গোস্বামীকে৷ প্রথমে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল ক্ষমতাসীন বিধায়ক ধীমান রায়কে৷ তাঁকে সরিয়ে আনা হল নারায়ণ গোস্বামীকে৷
আমডাঙ্গায় নতুন করে প্রার্থী করা হল রফিকুল রহমানকে৷ তিনি এই কেন্দ্রেরই বিধায়ক৷ প্রথমে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি৷ তাঁ বদলে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল ড. মোস্তাফা হোসেনকে৷ যা নিয়ে আমডাঙ্গা তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল৷ আজ ফের প্রার্থী বদল করে টিকিট দেওয়া হল রফিকুল রহমানকে৷ এছাড়া দুবরাজপুরে প্রার্থী করা হল দেবব্রত সাহাকে৷ এই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন অসীমা ধীবর৷
প্রার্থী বদলের কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, এই সকল প্রার্থীদের মেনে নিতে পারছিলেন না দলীয় কর্মীরা৷ স্থানীয় মানুষের মধ্যেও প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ছিল৷ বারবার ক্ষোভ বিক্ষোভ হচ্ছিল৷ সে কারণেই প্রার্থী বদল করা হল৷ আমডাঙ্গায় রফিকুল রহমানকে প্রার্থী না করায় ব্যপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল৷ রফিকুল রহমান ক্ষমতাসীন বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বদলে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ড. মোর্তাজা হোসেনকে৷ কিন্তু তাঁকে প্রার্থী করার পর থেকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখা দেয়৷ স্থানীয় নেতারা প্রার্থী হিসাবে পছন্দ করছিলেন না মোর্তাজা হোসেনকে৷ সেই কারণেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল৷
আরও পড়ুন- গেরুয়া সমর্থকদের প্রার্থী ক্ষোভ! বালিতে বৈশালীকে নিয়ে অন্য ছবি
পাশাপাশি সিটিং এমএলএ ধীমান রায়কে প্রার্থী করা নিয়েও অনেক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছিল৷ তাই তাঁকে সরিয়ে নারায়ণ গোস্বামীকে প্রার্থী করা হল৷ একইভাবে বিধায়ক রমেন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়েও অসন্তোষ ছিল৷ তার জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে৷ দুবরাজপুরেও অসন্তোষের জেরেই হল প্রার্থী বদল৷