বালি: একের পর এক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে বিজেপি। আর সেই সঙ্গে লাগাতার প্রার্থী নিয়ে গেরুয়া কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভে উত্তাল হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। একুশের ভোটের আগে দলবদলের যে রাজনীতির সাক্ষী থেকেছিল বাংলা, রাজনৈতিক দলগুলির প্রার্থী তালিকাতেও থাকছে তার প্রভাব। কিন্তু প্রার্থী ক্ষোভে গেরুয়া শিবিরের গৃহযুদ্ধের ছবিটা বালিতে এসে মিলল না। বরং একেবারে উল্টে গেল।
বালি থেকে প্রত্যাশা মতোই গেরুয়া টিকিট পেয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বিদায়ী সাংসদ বৈশালী ডালমিয়া। দল ছাড়ার সময় বালি কেন্দ্র থেকেই লড়াই করার চ্যালেঞ্জ ছু্ঁড়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রাক্তন ঘাসফুল সাংসদকে নিয়ে ক্ষোভ নেই বালির বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। তাই নাম ঘোষণার পর বৈশালী ডালমিয়াকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন তাঁরা। গেরুয়া ক্ষোভের মাঝেই তৈরি হল অন্য ছবি।
গতকাল নিজের পুরোনো কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়ার পরেই বালিতে পা রাখেন প্রয়াত জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালী ডালমিয়া। বিজেপির পার্টি অফিসে তাঁকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয়। রীতিমতো ঢাক ঢোল বাজিয়ে, ফুলের মালা পড়িয়ে, গেরুয়া আবির ছড়িয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় বিদায়ী সাংসদকে। এরপর এলাকায় মিছিল করে বৈশালী যান বেলুড়ের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিতে। পুজো দিয়েই নতুন দলের চিহ্নে নতুন ভাবে শুরু করতে চান তিনি। এদিন বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বৈশালী ডালমিয়ার বার্তাও ছিল স্পষ্ট। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, “তৃণমূলে থাকতে যে কাজ করতে পারিনি, এবার সেই অসম্পূর্ণ কাজ করব।”
বালি থেকেই প্রার্থী হিসেবে তাঁকে বাছার জন্য শীর্ষ নেতৃত্ব তথা অমিত শাহ নরেন্দ্র মোদীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন বৈশালী ডালমিয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া একঝাঁক নেতৃত্বকেই ভোটের টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। হাওড়া শিবপুর থেকে টিকিট পেয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়ও।