সিউড়ি: ক্ষিপ্ত বানরের তাণ্ডবে অতিষ্ট দুবরাজপুর৷ সেটিকে বাগে আনতে বাইরে থেকে প্রশিক্ষিত শ্যুটার নিয়ে আসা হয়৷ তাতেও অবশ্য বিশেষ লাভ হল না৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাগে আনা যায়নি দুবরাজপুরের পণ্ডিতপুর গ্রামের ক্ষিপ্ত বানরটিকে। খাঁচা পেতে অনেক চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। প্রায় কালঘাম ছুটে যায় তাঁদের। কিন্তু বানর ধরতে ব্যর্থ হন৷ গ্রামের মহিলা ও শিশুরা আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরতে পারথেন না। জানা গিয়েছে, ভয়ে এদিন পড়ুয়ারা স্কুলমুখো হয়নি। বানরটিকে খাঁচাবন্দি করে সেটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন- চার বেলা হাজিরায় সই করতে হবে! ধর্মঘট ঠেকাতে আরও কড়া নবান্ন
পণ্ডিতপুর, হালসোত গ্রামে শেষ চারদিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে একটি বানর৷ বানরের কামড় খেয়ে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাড়ি থেকে বেরতে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না৷ বেরলেও হাতে লাঠি নিয়ে বেরতে হচ্ছে। বনদফতর সূত্রে খবর, ক্ষিপ্ত বানরের কামড় ও আঁচড়ে প্রায় ১২-১৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। বানরটিকে ধরতে খাঁচা পাতার পাশাপাশি বর্ধমান থেকে প্রশিক্ষিত শ্যুটার নিয়ে আসা হয়েছে। জেলার অন্যান্য রেঞ্জের কর্মীদেরও দুবরাজপুরের এই গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে৷ মাঠঘাট, দোকানবাজারে ভয়ে কেউ যেতে পারছে না। কখন যে বানরের হামলার মুখে পড়তে হয়! এই প্রসঙ্গে সিউড়ির রেঞ্জ অফিসার প্রদীপ মিশ্র বলেন, ‘‘যতক্ষণ না বানরটি ধরা পড়ছে, ততক্ষণ আমরা এলাকা ছাড়ছি না।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>