কলকাতা: ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশের ধর্মঘট রুখতে বৃহস্পতিবার কড়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নবান্ন। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, শুক্রবার যারা কাজে যোগ দেবে না তাদের বেতন তো কাটা যাবেই, এমনকি তাঁর কর্মজীবনেও ছেদ (সার্ভিস ব্রেক) পড়বে। তবে অনুমান, এই নির্দেশিকা দিয়ে সম্পূর্ণ স্বস্তি পায়নি সরকার। তাই এদিন আরও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন- কুন্তল সহ তিনজনের জামিন খারিজ আবার, ১৪ দিনের হেফাজত
শুক্রবার রাজ্য প্রশাসন আরও কড়া পথে হেঁটে নির্দেশিকা জারি করেছে যে, কর্মীদের চার বেলা হাজিরায় সই করতে হবে আজ। তার জন্য জেলায় জেলায় ‘অ্যাটেনডেন্স ফরম্যাট’ পাঠানো হয়েছে। এমনিতেই গতকাল নবান্ন প্রথম নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, দিনের প্রথমার্ধে হোক কিংবা দ্বিতীয়ার্ধে, এই দিনটিতে কোনও ছুটি নেওয়া যাবে না। তাই কর্মীরা সত্যিই সারাদিন অফিসে আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতেই এই পন্থা নিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রথমে সকাল ১০.৪৫-এ অর্থাৎ অফিস ঢুকেই সই করতে হবে। তারপর বেলা ১২টা এবং দুপুর দেড়টায় সই করতে হবে। শেষে অফিস ছুটির সময়, বিকেল ৫টায় সই করতে বেরতে হবে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা SLST চাকরিপ্রার্থীদের! SLST job aspirants stage unique protest in Kolkata” width=”835″>
আপাতত যা খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে বলা যায় যে এই ধর্মঘট খুব একটা সফল হয়নি। নবান্ন-সহ রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলিতে কর্মীদের হাজিরা প্রায় ৯০ শতাংশের ওপরই আছে। যদিও আন্দোলনকারীদের পাল্টা হুঁশিয়ারি, সরকার পারলে চাকরিতে ছেদ করে দেখাক, তাহলে আদালতে যেতে হবে। রাজ্যের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে ধর্মতলা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকেও বেনজির আক্রমণ করেন ধর্মঘটীরা।