কলকাতা: ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গজুড়ে গেরুয়া ঝড় ওঠার পর, বিজেপি’র পাখির ছিল পশ্চিমবাংলা৷ সুচারু বিশ্লেষণে তৈরি হয়েছিল বিজেপি’র বঙ্গ জয়ের নীল নকশা৷ নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে তৈরি হয়েছিল বিশেষ স্ট্র্যটেজি৷ সেই সঙ্গে খাস কলকাতায় তৃণমূলকে ১১ শূন্য করার টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া ব্রিডেগ৷ কিন্তু কার্যত দশ গোল খেতে হল তাঁদের৷ মোদী ম্যাজিক ফিকে করে তিলোত্তমায় উঠল গেরুয়া ঝড়৷ শাহী মেজাজে কলকাতায় অন্তত ৫০ শতাংশ আসন জয়ের প্রত্যাশী ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী৷ কিন্তু বাস্তবে খাতাই খুলতে পারল না গেরুয়া দল৷ ১১টি আসনেই ফুটল ঘাসফুল৷
আরও পড়ুন- টানটান উত্তেজনা, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নন্দীগ্রামের ‘প্রেস্টিজ ফাইটে’ শেষ হাসি মমতার
২০১৬ সালে কলকাতায় ১৬টি আসনেই জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে ২০১৯ সালে সেই জয়ে কিছুটা ছেদ পড়ে৷ তিনটি আসন দখল করে নেয় বিজেপি৷ এই জয় নিশ্চিত ভাবেই বিজেপি’র মনে আশা জাগিয়েছিল৷ কিন্তু একুশের নির্বাচনে ‘শূন্য’ হাতেই তাদের ফেরার শহর কলকাতা৷ অমিত শাহের টার্গেট ছিল কলকাতার ৫০ শতাংশ আসন৷ মহানগরকে নজরে রেখেই দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী এবং উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো এবং শ্যামপুকুরে জনসভা করেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ মোট ৬টি আসন জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি৷ কিন্তু বাস্তব ছবি পুরোটাই ভিন্ন৷ দক্ষিণ কলকাতার চারটি আসন কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জ ৪টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে উত্তর কলকাতার চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, শ্যামপুকুর এই ৭ কেন্দ্রেই ফুটেছে ঘাসফুল৷ জোড়াসাঁকো কেন্দ্রে প্রথমে কিছুটা আশা জাগলেও শেষরক্ষা হল না৷ তৃণমূলের কাছে পরাজিত হন মীনাদেবী পুরোহিত৷ শুধু কলকাতা নয়, কলকাতা সংলগ্ন কেন্দ্রগুলিতেও জয়ের মশাল জ্বালাল তৃণমূল৷