কলকাতা: নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল-বিজেপি দ্বৈরথের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্রে ‘প্রেস্টিজ ফাইটে’ নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী৷ বাংলা তো বটেই, সকাল থেকে গোটা দেশের নজর আটকে ছিল এই হাইভোল্টেজ কেন্দ্রের দিকে৷ এদিন গণনার শুরুতেই লিড নিয়ে নিয়েছিলে শুভেন্দু৷ একটা সময় ৮ হাজারেরও বেশি ভোটে পিছিয়ে গিয়েছেন মমতা৷ কিন্তু পরে ফের ব্যবধান কমিয়ে এগিয়ে চার হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যান তৃণমূল নেত্রী৷ দিনভর টানটান উত্তেজনার পর অবশেষে শেষ রাউন্ডে ‘ছক্কা’ হাঁকান মমতা৷
আরও পড়ুন- ‘এটা বাংলার জয়’, বিজয় মিছিল না করার বার্তা মমতার
শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর গত ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের তেখালি মাঠের সভা থেকে এই কেন্দ্র থেকে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মমতা৷ এর পর মানুষের সমর্থন কুঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম থেকেই লড়াই করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন দলনেত্রী৷ এই অবস্থায় বিজেপি’র পক্ষে ব্যাকফুটে যাওয়া সম্ভব ছিল না৷ মমতার এই ঘোষণার পরেই নন্দীগ্রাম আসনে লড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর ইচ্ছায় সিলমোহর দেয় বিজেপি নেতৃত্ব৷ এর পরেই কার্যত হাইপ্রোফাইল কেন্দ্র হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম৷ নন্দীগ্রামের সমরাঙ্গনে মাটি আকড়ে প্রচার শুরু করে দুই দল৷ শুভেন্দুর সমর্থমে নন্দীগ্রামে পা রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ অন্যদিকে, ভাঙা পায়ে হুইল চেয়ারে বসেই চলে মমতার লড়াই৷ এখানে একের পর এক সভা, এমনকী রোড শোও করেন তৃণমূল নেত্রী৷ এরই মাঝেই একে অপরের দিকে ছুড়ে দিয়েছে তীক্ষ্ণ শব্দ বান৷ অবশেষে নন্দীগ্রামের ব্যাটেল গ্রাউন্ডে মেগা ফাইটের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত৷ ১২০০ ভোটে শুভেন্দুকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন দলনেত্রী৷
এই কেন্দ্রে নিশ্চিতভাবেই মমতা ও শুভেন্দু উভয়ের কাছেই ছিল প্রেস্টিজ রক্ষার লড়াই৷ জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন উভয়েই৷ তবে ভোটের ফল প্রকাশেপ পর শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির প্রঙ্গনে৷