মুরারই: সংক্রমণে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই চারিদিকে দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন, অক্সিজেন ও হাসপাতালের বেডের আকাল৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়ায়ি সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে৷ এখানে করোনার চিকিৎসার যাবতীয় পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও রোগীর দেখা নেই৷
আরও পড়ুন- ন্যূনতম করোনা উপসর্গ থাকলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে!
কলকাতা বা দেশের যে কোনও বড় শহরেই হাসপাতালের বাইরে রোগীদের লম্বা লাইন৷ অমিল বেড, অক্সিজেন৷ কিন্তু মুরারইতে সমস্ত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও রোগী নেই কেন? এখানে ব্লক স্বাস্থ্য অধিকর্তার কথা শুনলে রীতিমতো আতকে উঠতে হয়৷ তিনি জানান, এখানে ১২ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে৷ মজুত রয়েছে অক্সিজেন, নেবুলাইজার৷ রয়েছেন ছয় জন চিকিৎসক৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও রোগী নেই৷ স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, যাঁরা কোভিড পজেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এখানে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাই পালিয়ে যাচ্ছেন৷ ঠিকানা দেখে আশেপাশের এলাকা থেকে ওই করোনা আক্রান্ত রোগীদের খুঁজে আনতে গেলে বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের৷ যেখানে চূড়ান্ত অজ্ঞতা এবং অসচেতনতার ছবি স্পষ্ট৷ সেই সঙ্গে পরিস্থিতিও আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে৷ এই সকল কোভিড পজেটিভ রোগীরা বহু মানুষের সংস্পর্শে আসছেন৷ ফলে সংক্রমণ বহুগুণ ছড়ানোর প্রবণতা তৈরি হচ্ছে৷
এর পাশাপাশি আরও একটি ছবি এখানে ফুটে উঠেছে৷ স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, এটি রামপুরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা একটি হাসতাপাল৷ ২ লক্ষ ১০ হাজার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল৷ এখানে রয়েছে টিকাকরণ কেন্দ্রও৷ তবে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও সাধারণ মানুষ মিলে মাত্র ৭ হাজার জন টিকা নিয়েছেন৷ বাক্স ভর্তি মজুত রয়েছে ভ্যাকসিন৷ আজ আরও অক্সিজেন আসছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কোনও রোগী সঙ্কটজনক অবস্থা হলে তবেই রামপুরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে৷ কিন্তু সমস্যা হল রোগীরা কোভিড পডেটিভ জানতে পেরেই পালিয়ে যাচ্ছে৷ ওয়ার্ড পুরো ফাঁকা৷ সেই সঙ্গে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড৷
আরও পড়ুন- নজরে জ্ঞানবন্ত সিং! তলব করল CBI
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, আমারা রোগী ভর্তি নিচ্ছি৷ তাঁদের এখানেই থাকার কথা বলা হচ্ছে৷ কিন্তু যখনই তাঁদের রিপোর্ট পজেটিভ আসছে, তাঁরা হয় ডিসচার্জ চাইছে, নয় পালিয়ে যাচ্ছে৷ তাই পজেটিভ রোগীদের সেফ হোমে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে৷