কলকাতা: দু’বার টেট পাশ করেছেন তাঁরা৷ কিন্তু, তাঁদের শংসাপত্র (টেট সার্টিফিকেট) দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই শংসাপত্র পেতেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা। এত দিনেও কেন পরীক্ষার্থীদের শংসাপত্র দেওয়া হল না? পর্ষদ সভাপতির কাছে জবাব তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মামলকারীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পরামর্শ, সরাসরি পর্ষদ সভাপতির কাছ থেকে জেনে আসুন কেন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে না। তার পরই এই মামলার শুনানি শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন- কারচুপি করার চেষ্টা করছে কমিশন, তৃণমূলকে জেতাতে চায়! বিস্ফোরক শুভেন্দু
দিন কয়েক আগেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পর্ষদ। নিয়ম মোতাবেক, যে কোনও পরীক্ষার্থী একবার টেট পাশ করলেই হবে। বার বার পরীক্ষায় বসতে হবে না। পরবর্তীকালে মেধাতালিকার ভিত্তিতে ইন্টারভিউ হবে৷ সেখানে সফল হলেই চাকরিতে নিয়োগ৷ এমতাবস্থায় অনেক চাকরিপ্রার্থীর দাবি, তাঁরা ২০১৪ এবং ২০১৭ দু’বছরই টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফলে নতুন করে টেট পরীক্ষায় বসার কোনও প্রশ্নই নেই৷ কিন্তু পর্ষদ এতদিনেও তাঁদের আগের পরীক্ষার শংসাপত্র দেয়নি৷ ফলে নতুন করে তাঁরা আবেদন করতে পারছেন না। কারণ, বিগত পরীক্ষার নম্বরই তাঁদের জানা নেই। ফলে নতুন করে আবেদনের ক্ষেত্রে দু’টো পরীক্ষার মধ্যে কোনটার নম্বর দেবেন, কোন পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর বেশি, তা নিয়ে তাঁরা ধন্দে পড়েছেন।
এই সমস্যার সুরাহা চেয়েই সুমন্ত বিদ-সহ একাধিক পরীক্ষার্থী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, শংসাপত্র পাননি এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার হবে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মামলা করার অনুমতিও দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>