কলকাতা: বেশ কয়েক দিন ধরেই ফেসবুকে আলোআধারি ভরা পোস্ট করছিলেন তিনি। কখনও লিখছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে, কখনও আবার জানান তিনি মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করেছেন৷ এ বার প্রকাশ্যে এল তাঁর হাসপাতালে শুয়ে থাকার একটি ছবি৷ কী হয়েছে লেখিকার? সে বিষয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
আরও পড়ুন- ‘এখনও কাউকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি’, পোখরা থেকে জানালেন নেপাল সেনা, চলছে উদ্ধারকাজ
রবিবার রাত ১০টা ২০৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন তসলিমা। সেখানে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রয়েছেন বিতর্কিত লেখিকা। তাঁর চারপাশে পাঁচ জন দাঁড়িয়ে। দেখে মনে হচ্ছে শুভানুধ্যায়ী৷ কী হয়েছে তসলিমার? পর পর তিনি যে সব অদ্ভূত পোস্ট করছিলেন, তার সঙ্গে কি এই ছবিগুলির যোগসূত্র রয়েছে? যদিও ওই ছবির সঙ্গে কোনও লেখা পোস্ট করেননি বাংলাদেশের লেখিকা। তার ফলে বিভ্রান্তি বেড়েছে ভক্তদের মধ্যে।
হাসপাতালের ছবি পোস্ট করার কিছু ক্ষণ আগে তসলিমা কিছু নথি আপলোড করেছিলেন। সেই নথি অনুযায়ী ২০১৮ সালে দিল্লির এইমস হাসপাতালে তিনি মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন। একটি নথিতে লেখা রয়েছে, তসলিমার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই যেন হাসপাতালে খবর দেওয়া হয়। কারণ তাঁর দেহ দান করা হয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বেশ কিছু পুরনো পোস্ট শেয়ার করছেন৷ ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারির একটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের কত কিছু, জগৎ ও জীবনের কত কিছু অজানা রেখে আমাদের চলে যেতে হয়!’’
গত ৬ জানুয়ারি এক বন্ধুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে তসলিমা লিখেছিলেন, ‘‘৮০ কিলো থেকে চেষ্টা চরিত্তির করে ৮ মাসে হয়েছিলাম ৫২ কিলো। ৫২র হাড় সর্বস্ব শরীর দেখে ভয়ে পিছু হটতে শুরু করলাম। ২ মাসে তড়িঘড়ি ওজন বাড়িয়ে করলাম ৫৬.৫ কিলো। এখানেই থেমে থাকুক চাইছি।’’ তসলিমা যে ওজন কমাচ্ছিলেন, তা এই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট৷ তবে তাঁর ১৪ জানুয়ারির পোস্ট, বেশ বিভ্রান্তি ছড়ায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘গতকাল ঠিক এই সময় মৃত্যু হয়েছে আমার। এখন ফিউনারেল (শেষকৃত্য) চলছে।’’ ১৫ জানুয়ারি, সকাল ৬টা ১১ মিনিটে লেখিকা বললেন, ‘‘আমার মরণোত্তর দেহ হাসপাতালে দান করা হয়েছে।’’
রবিবার রাতে তিনি একাধিক নথি পোস্ট করেন। যার মধ্যে একটি ছিল ‘বডি ডোনার পকেট কার্ড’। কিন্তু প্রশ্ন হল কী হয়েছে তাঁর? তবে কী অতিরিক্ত ওজম ঝরাতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাংলাদেশের এই বিতর্কিত লেখিকা?
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>