আফগানিস্তানে বিপন্ন শৈশব! বই-খাতার বদলে হাত উঠছে বন্দুক, ‘শিশু সৈনিক’ বানাচ্ছে তালিবান

আফগানিস্তানে বিপন্ন শৈশব! বই-খাতার বদলে হাত উঠছে বন্দুক, ‘শিশু সৈনিক’ বানাচ্ছে তালিবান

কাবুল:  আফগানিস্তানে ফিরেছে ২০ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি৷ রাজপথ জুড়ে তালিবানের বুটের শব্দ৷ চারিদিকে রক্তচক্ষু৷ সশস্ত্র জঙ্গিবাহিনীর হাতে ফের আগানিস্তানের ক্ষমতা যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কগুলো মাথাচাড়া দিচ্ছিল৷ সেই আতঙ্কই যেন সত্যি হতে চলেছে৷ আরও একবার রক্তাক্ত আফগানিস্তানের শৈশব৷ আফগান মুলুকে শিশুদের হাতে জোড় করে তুলে দেওয়া হচ্ছে বন্দুক৷ তাদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে সেনা দলে৷  

আরও পড়ুন- ‘ভুল করে’ ৭ শিশুসহ ১০ জনকে মেরেছে আমেরিকা! দোষ স্বীকার

শিশুদের হাত থেকে বই খাতা কেড়ে তাদের ব্যবহার করা হবে সন্ত্রাসবাদী কাজে৷ যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে আফগান নাগরিকদের মধ্যে৷ ‘শিশু সৈনিক’ ইস্যুতে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস মাইকেল ব্যাকলেট। আফগান মুকুলে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই মানবাধিকার পরিষদকে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জিও জানানো হয়েছে৷ 

প্রসঙ্গত, ছোটদের হাতে বন্দুক তুলে দেওয়াটা তালিবানের দস্তুর৷ বরাবরই তারা শিশু-কিশোরদের ব্যবহার করেছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে৷ ১৯৯৬ সালে প্রথমবার আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পর এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেছিল গোটা বিশ্ব৷ সেই সময় কার্যত জোড় করে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ধরে নিয়ে যেত তালাবান৷ তার পর তাদের গড়ে তুলত নিজেদের মতন করে৷ তারা কেউ ফিদায়েঁ হামলা ঘটিয়েছে, কেউ সাধারণ সৈনিক হিসাবে তালিবানে থেকে গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- বেচতে হচ্ছে টিভি-বাসনপত্র! আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত আফগানরা

২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানে শুরু হয়েছে সেই তালিবানি রাজ৷ মুখোশ বদলে দুনিয়ার সামনে নতুন করে নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে মরিয়া তারা৷ কিন্তু মুখোশ বদলালেও বদলায়নি মুখ৷ তালিবান রয়ে গিয়েছে আগের মতোই৷ শুধু শিশুরা নয়, তালিবানি রাজত্বে বিপন্ন নারীরাও৷ ইতিমধ্যেই কেড়ে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষ ও মহিলাদের বসার জায়গা পৃথক করে দেওয়া হয়েছে৷ বঞ্চিত করা হয়েছে কর্মজীবন থেকে৷ খেলাধুলায় অংশ নিতেও বারণ করা হয়েছে৷ তাদের উপর জোড় করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে শরিয়তি আইন৷ ফলে  ‘ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তান’-এ মহিলাদের পরিণাম কী ভয়ঙ্কর হতে চলেছে তা তালিবানি আচরণে স্পষ্ট৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *