বড় ফুলের টাকা নিয়ে ছোট ফুলে ভোট দেবেন, দাওয়াই অভিষেকের

বড় ফুলের টাকা নিয়ে ছোট ফুলে ভোট দেবেন, দাওয়াই অভিষেকের

কেশপুর: মেদিনীপুরে মাটি আকড়ে ধরতে জোড় কদমে প্রচার অভিযানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেশপুরের জনসভা থেকে তুলোধোনা করলেন গেরুা শিবিরকে৷ 

আরও পড়ুন-  নন্দীগ্রামে বহিরাগত জড়ো করে রেখেছেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূল

এদিনের সভা থেকে অভিষেক বলেন, ৩৪ বছর বাম শাসনের অত্যাচার আমরা কেউ ভুলে যাইনি৷ সেই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনেছিল৷ প্রতিটি জনসভায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা এবং ভালোবাসার যে  ইঙ্গিত আমি পাচ্ছি, তাতে নিশ্চিত তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, বহিরাগতরা বাইরে থেকে বাংলায় এসে সভা করে বলছে, আবকিবার ২০০ পাড়৷ তাঁদের বলে চাই, আবকিবার ২০০ পাড় নয়, ২০০ হার৷ তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০ পাড়৷ 

অভিষেকের হুঙ্কার, কেশপুর সিপিএমের শেষপুর হয়েছিল, এবার এই কেশপুরই বিজেপি’র শেষপুর হবে৷ আপনারা কি চান না, ভাঙা পা নিয়ে লড়াই করে বাংলার দাবি দিল্লির বুক থেকে ছিনিয়ে আনা হোক? মেদিনীপুরের মীরজাফরদের শাস্তি দিয়ে তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত করবেন না কি? তিনি বলেন, যাঁরা মেদিনীপুরের বিশ্বাস, আবেগ, ভালোবাসা, মেরুদণ্ডকে দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়েছে, তাঁদের যোগ্য যোগ্য জবাব দিতে হবে৷ ১ এপ্রিল বিজেপি’কে এপ্রিলফুল করতে হবে৷ 

অভিষেক বলেন, এই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বারের জন্য জিতিয়ে নবান্নে ফিরিয়ে আনার লড়াই নয়৷ তৃতীয়বার মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করার লড়াই নয়৷ এই লড়াই বাংলা দখল করতে চাওয়া বহিরাগতদের বিরুদ্ধে লড়াই৷ ওঁরা ভাবছে আমাদের ধমকে চমকে রাখবে৷ একশোর মধ্যে একজন গদ্দার হয়, একজন মীরজাফর হয়, বিশ্বাসঘাতক হয়৷ মেদিনীপুরের মানুষ গদ্দারদের সমর্থন করবে না৷ যাঁরা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে মেদিনীপুরের মানুষ তাঁদের সঙ্গে আছে থাকবে৷ আমাদের প্রাণ গেলে যাবে, দিল্লির বুকে বাংলার মাথা নত করতে দেব না৷ 

আরও পড়ুন- শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে! দাবি করলেন ‘দিদি’

তৃণমূল সাংসদের কথায়, ওরা ভাবছে টাকা দিয়ে ভোট করবে৷ টাকা দিয়ে নেতা বিক্রি হয়৷ কর্মী আর মানুষ বিক্রি হয় না৷ বড় ফুলের টাকা নেবেন আর ছোট ফুলে ভোট দেবেন৷ কারণ এই টাকা বাংলার টাকা৷ এই টাকা বিজেপি’র পৈতৃক সম্পত্তি নয়৷ বাংলা থেকে প্রতি বছর ৭৫ হাজার কোটি টাকা কেটে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ৭ বছরে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলা থেকে নিয়ে গিয়েছে৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *