স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বরাদ্দ এক লাফে বাড়ল পাঁচ গুণ, কড়া নজর বেসরকারি হাসপাতালে

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বরাদ্দ এক লাফে বাড়ল পাঁচ গুণ, কড়া নজর বেসরকারি হাসপাতালে

653eaf3d9f1bc1c564512608ac98b0ad

কলকাতা: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী প্রত্যাখ্যান এক চেনা ছবি৷ কারণ, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসা বাবদ সরকার যে টাকা বরাদ্দ করেছে, তা ‘যথেষ্ট’ নয় বলেই বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলির অনুযোগ। আইসিইউ বা সিসিইউর জন্যত স্বাস্থ্যমসাথী কার্ডে বরাদ্দ মাত্র ৩ হাজার টাকা। এত কম টাকা পরিষেবা দিতে বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালই গররাজি৷ এই সব কারণেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বারবার রোগী প্রত্যাখ্যানের অভিযোগ উঠছিল৷ শুধু তাই নয়,  সময়মতো টাকা না আসায় সরকারি হাসপাতালে পেসমেকার বা স্টেন্ট পেতেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় চিকিৎসককে। 

আরও পড়ুন- অপারেশনের সময় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন চিকিৎসকরা! খাস কলকাতায় এমন ঘটনায় বিস্মিত চিকিৎসক মহল

সমস্যা আরও আছ৷ নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় না-থাকা ওষুধপত্র ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে। এতে স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে থাকা বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হত রোগীদের। এ বার সেই খরচ একে লাফে পাঁচ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ভুয়ো বিল দেখিয়ে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল টাকা তুলেছে কি না,  তা জানতে  কড়া পদক্ষেপ করছে স্বাস্থ্য দফতর। 

নতুন নির্দেশিকায় ওষুধপত্র ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এটি শুধুমাত্র রাজ্যের সেই ৩০টি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, যাদের ‘এনএবিএইচ’ (ন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড ফর হসপিটালস অ্যান্ড হেল্‌থ কেয়ার প্রোভাইডার) স্বীকৃতি রয়েছে। কলকাতার বড় বড় কিছু হাসপাতালের পাশাপাশি শহরতলির কয়েকটি মাঝারি মাপের নার্সিংহোম এই তালিকায় রয়েছে।

বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি রূপক বড়ুয়া বলেন, “পাঁচ হাজার টাকা অত্যন্ত কম ও অবৈজ্ঞানিক ছিল। আশা করি, এ খাতে অর্থ বৃদ্ধির বিষয়টি শীঘ্রই কার্যকর হবে৷ প্যাকেজের অন্যান্য দরের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।”

রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী খাতে শুধু খরচ বৃদ্ধিই করেনি৷ রোগীর ছুটির পর তাঁদের বিল খতিয়ে দেখে অডিট হবে। রোগী কতদিন আইসিইউ বা সিসিইউতে রোগী ছিল অথবা কী ধরণের পরীক্ষা হয়েছে সব তথ্যব মিলিয়ে দেখা হবে। অন্তত ২০০ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক প্রায় ৩০ শতাংশ বিল অডিট করবেন। হিসাবের গড়মিল হলেই টাকা কেটে নেওয়া হবে৷