কলকাতা: জমি অধিগ্রহণ থেকে শুরু করে করোনা সরকারের সম্পত্তি বিক্রি সহ একাধিক ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী৷ এদিনের জনসভা থেকে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে পুলিশ আছে, আইন আছে৷ অবৈধভাবে জমি বিক্রি করা হয়েছে৷ কিন্তু বিজেপি সরকারকে জমি কেড়ে নিতে দেবে না৷ জমি আন্দোলনে আমরা ডক্টরেট করা আছে৷ নন্দীগ্রামের জমি রক্ষার আন্দোলনে ২৩৫-এর দর্পকে চূর্ণ করেছিলাম৷
আরও পড়ুন- SP-কে হুমকি, ফোনে আড়ি, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু পুলিশের
শুভেন্দুর কথায়, রুগ্ন প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে কোনও পদক্ষেপ করছে না সরকার৷ দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটা লোক মাতব্বরি করছে খালি৷ ২-৩ জন ছরি ঘোরাবে এটা হতে দেওয়া যায় না৷ তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, মোদীজী সব বেচে দিচ্ছেন বলে যারা সুর চড়াচ্ছে তারাই হরিণঘাটার মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে৷ ইডি সেই শেয়ার বিক্রির তদন্ত করছে৷ অনেক রাঘব বোয়াল নাম তদন্তে উঠে আসবে৷ তিনি বলেন, বিশ্ব বাংলার ছোট্ট ওয়েবসাইটে টেন্ডার কল করা হয়৷ মাত্র ৮৫ কোটি টাকায় রাজ্য সরকারের সব শেয়ারগুলি বেচে দেওয়া হয়েছে৷ এর ১৫ দিন পর মাত্র ১৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি হয়েছে ৫০০ কোটি টাকায়৷
শভেন্দু আরও বলেন, এশিয়ার বৃহত্তম হলদিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল, যেখানে ৯৮ শতাংশ প্রোডাকশন হয়, রাজ্য তার শেয়ারও চ্যাটার্জী গোষ্ঠীকে বেচে দিয়েছে৷ কলকাতার ট্রামওয়েজের সব জমি প্রোমোটারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে৷ ইলেকশন বন্ডে বা কালো টাকায় এই জমি বেচা হয়েছে৷ এছাড়াও অন্ডাল বিমানবন্দরের জন্য ২,৩০০ একর জমি নেওয়া হয়েছিল৷ অন্ডান বিমান বন্দরের শেয়ারও ৪০০ কোটি টাকায় বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ যে বামফ্রন্টের আমলে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ ছিল৷ বর্তমানে সেই ঋণের পরিমাণ ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা৷ স্টেট কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক যেখানে জনগণের টাকা রয়েছে, সেখান থেকেও ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন- চা বাগানের জমিতে ‘অনুমতি ছাড়াই’ বাড়ি! আবারও বিতর্কে জন বার্লা
সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শিল্প জানেন না৷ রাজ্যের অধীনে লিলি বিস্কুটের মতো প্রায় ৫০ টি সংস্থা ছিল৷ সবকটি রাজ্য সরকার বেচে দিয়েছে৷ রাজ্যে এমন লকডাউন চলছে যেখানে সব কিছুই খোলা৷ মদের দোকান আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে৷ শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় যাত্রা আর ট্রেন বন্ধ৷
তাঁর কথায়, পেট্রোপণ্য নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন করবে কিন্তু বিজেপি’র আন্দোলনে দোষ৷ বিশ্বের কোথাও জাল ভ্যাকসিন হয়নি এ রাজ্য ছাড়া৷ খবরে শুধু ভুয়ো আইএএস, সিবিআই৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম দেখানোর জন্য৷ নাহলে তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রী থাকা হবে না৷ ছ মাসের মধ্যে জিতে আসতে না পারলে গদি হারাতে হবে৷