নয়াদিল্লি: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত৷ আফগানিস্তানের ভূমিকম্পের প্রভাব পড়ল এ দেশে৷ অনুভূত হল একের পর এক আফটার শক৷ দিল্লি ছাড়াও কম্পন অনুভূত হয়েছে হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং হরিয়ানায়৷ মঙ্গলবার রাত সওয়া ১০টা নাগাদ দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রায় ৪৫ সেকেন্ড ধরে তিন দফায় কেঁপে উঠেছে মাটি৷ তবে ভূমিকম্পে জেরে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি৷ কিছু বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘ফাঁসি নয়, যন্ত্রণাহীন মৃত্যুদণ্ডের পথ খুঁজুক কেন্দ্র’,নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির অন্যতম প্রধান জেএল গৌতম জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ফৈজাবাদের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল৷ ভূপৃষ্ঠের ১৫৬ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৫। তবে কম্পনের মাত্রা ৬.৮ বা তার বেশি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের পাশাপাশি পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান এবং চিনের শিনজিয়াংয়েও জোরাল ভূকম্পন হয়েছে৷
ভূকম্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ। সেখানে ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান প্লেটের সঙ্গে ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের জেরেই ভূমিকম্প হয়েছে। ভূবিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ইন্ডিয়ান প্লেট এবং ইউরেশীয় প্লেটের মধ্যে রেষারেষির জেরে এই পার্বত্য অঞ্চল অতি মাত্রায় ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে।আফগানিস্তানের এই কল্পনের প্রভাব পড়েছে ভারতেও৷
উল্লেখ্য, গত ৩ বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে ভূমিকম্প হচ্ছে ভারতের রাজধানীতে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেঁপে উঠেছিল দিল্লি৷ রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.৫। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর ৫.৪ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬.৩৷ মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে ভূমিকম্পের ধাক্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দারা। বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন অধিকাংশ মানুষ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>