মুম্বই: রুপোলি পর্দায় তিনি ‘ভিলেন’৷ কিন্তু বাস্তবের মাটিতে সেই তিনিই ‘মসিহা’৷ অনেকের কাছে আবার ‘সুপারহিরো’৷ করোনাকালে ভিন রাজ্যে আটকে পরা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো থেকে দুস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো সেই মানুষটা আর কেউ নন, বলিউড তারকা সনু সুদ৷ তাঁর মানবিকতা সকলকে মুদ্ধ করেছিল। কুর্নিশ জানিয়েছিলেন নেটিজেনরা৷ তবে শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, আজও আর্তদের পাশে শক্ত ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সনু সুদ৷
আরও পড়ুন- বিশ্বব্যাপী ১,০০০ কোটির ব্যবসা, নজির গড়ল শাহরুখের ‘পাঠান’
করোনা পরিস্থিতিতে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজে বিমানের টিকিট কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, করোনাকালে হাজার হাজার মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছিলেন অভিনেতা। আর্তের পাশে সবসময় হাসিমুখে দাঁড়িয়েছেন। কারও অপারেশনের বন্দোবস্ত করেছেন, কারও বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন অক্সিজেন, কারও জন্য আবার খুঁজে দিয়েছেন হাসপাতালের বেড৷ এমনকি খবর পেয়ে অনলাইন পড়াশোনার জন্য পড়ুয়ার হাতে তুলে দিয়েছেন মোবাইল ফোন৷ কিন্তু, করোনাকালে এত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে পেলেন অভিনেতা? সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সোনুর সামনে এই প্রশ্নটি রাখেন৷ যার জবাবও দেন তিনি৷
সোনু জানান, চিকিৎসক থেকে শিক্ষক, কলেজ পড়ুয়া, ওষুধের কোম্পানি, সকলেই তাঁকে কোনও না কোনও ভাবে সাহায্য করেছেন। এছাড়াও প্রচুর বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাঁকে। অভিনেতাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার জন্য অনেকেই জোরাজুরি করেন। সেক্ষেত্রে নিজে টাকা না নিয়ে ওই ব্র্যান্ডগুলিকে দুঃস্থদের চিকিৎসার খরচ বহন করতে বলেন তিনি। সোনু জানান, সম্প্রতি তিনি দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে এক হাসপাতালের ডিরেক্টরের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেলফি তোলার পর তিনি সোনুকে তাঁদের হাসপাতালের মুখ হওয়ার প্রস্তাব দেন। পরদিন এ বিষেয়ে কথাবার্তা হয় তাঁদের। পারিশ্রমিকের কথা উঠলে সনু বলেন, বিনামূল্যে ৫০ জনের লিভার প্রতিস্থাপন করে দিতে হবে৷
অভিনেতার কথায়, ‘ওই হাসপাতাল লিভার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য নাম। প্রতিটি ট্রান্সপ্লান্টের ক্ষেত্রে ২৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। গরিবরা এত টাকার ভার বইবে কী ভাবে? তাঁদের পক্ষে তো সম্ভব নয়। তাই এই সিদ্ধান্ত নিই৷’ কাজের বিনিময়ে পারিশ্রমিক না নিয়ে সেই টাকা মানুষের সাহায্যের খাতে ব্যয় করেন সোনু সুদ। সনু বলেন, ‘ কথা মতো এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার জন্য খরচ হয়েছে ১২.৫ কোটি টাকা৷’’
সেই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘কারও প্রয়োজন হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি আপনাদের সাহায্য করব। যে শ্রমিক প্রতিদিন ২০০ টাকা আয় করেন, তাঁর পক্ষে ২৫-২৮ লক্ষ টাকা খরচ করা সত্যিই অসম্ভব।’ তবে এমনটা বুঝি সনু সুদই করতে পারেন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>