কলকাতা: হাঁচি! খুব স্বাভাবিক একটি শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়া৷ ঠাণ্ডা লাগলে বা সর্দি হলে অনেকেরই অনবরত হাঁচি হতে থাকে৷ অনেকের আবার হাঁচি হয় অ্যালার্জি থেকে৷ তবে এই হাঁচির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু প্রচলিত ধ্যান ধারণা৷ বা অন্ধবিশ্বাস৷ অনেকেই মনে করেন বেরনোর সময়, কিংবা কোনও শুভ কাজের সূচনায় হাঁচি পরলে তা অশুভ৷ কিন্তু কেন হাঁচির সঙ্গে এমন ধারণা জড়িয়ে?
আরও পড়ুন- কাজের জন্য ‘হাইব্রিড মডেল’ চাইছে অধিকাংশ সংস্থা, পদ্ধতি কেমন
প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে হাঁচি অশুভ বলে চিহ্নিত হয়ে এসেছে। সে কারণেই হয়তো হাঁচি দেওয়ার পর অনেকেই ‘ওম শান্তি’ বলে থাকেন। অনেকের আবার ধারণা, হাঁচি মানেই নাকের মধ্যে দিয়ে কোনও আত্মার শরীরে প্রবেশ অথবা শরীর থেকে নির্গত হওয়া। কোথাও যাওয়ার আগে নিজে অথবা অন্য কেউ হাঁচি দিলেই ব্যাস৷ সঙ্গে সঙ্গে তা অশুভ বলে মনে খুঁত খুঁত করতে থাকে। এই অশুভ হাঁচির প্রতিকারকও আছে৷ ওই ব্যক্তিকে তখন কিছুক্ষণ বসে একটু জল খেয়ে তারপর বেরোতে বলা হয়৷
এর বাইরেও হাঁচি নিয়ে অনেক ধ্যানধারণা আছে৷ অনেকে বলে থাকেন দিনের শুরুতে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে হাঁচির আওয়াজ শোনা গেলে তা আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আবার এই একই দিক থেকে যদি দিনের পরের ভাগে হাঁচির আওয়াজ শোনেন, তাহলে বুঝতে হবে আগুনের ভয় আছে৷ আবার দিনের তৃতীয় ভাগে হাঁচির অর্থ হল, পুরনো কোনও বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর চতুর্থ ভাগে হাঁচির শব্দে আসে কোনও আনন্দের খবর। তবে এর সবগুলিই প্রচলিত বিশ্বাস মাত্র। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বা ভিত্তি নেই।
আসলে হাঁচি কোনও অশুভ বিষয় নয়৷ বরং হাঁচি আমাদের শরীর খারাপের দিকে ইঙ্গিত করে৷ মানে সর্দি বা অ্যালার্জি, যে কোনও কারণে হাঁচি হতে পারে৷ এছাড়াও মনোযোগ দিয়ে কোনও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর ঠিক আগে আচমকা হাঁচিতে মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তখন একটু অপেক্ষা করে ফের মনকে শান্ত করে তারপর কাজ শুরু করতে বলা হয়। একইভাবে বেরনোর মুখে কেউ হাঁচলে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। আসলে যত শুভ অশুভই সবটাই আমাজের মনের৷ কারও হাঁচিতে শুভ বা অশুভ বলে কিছু হয় না৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>