কলকাতা: সকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ আসানসোল জেল থেকে বেরনোর পর পুলিশের কনভয় থামে শক্তিগড়ে একটি খাবার দোকানের সামনে৷ সেখানে প্রাতরাশ সারার পর সোজা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ। অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন এনফোর্সমেন্ট ডেরেক্টরেট (ইডি)-এর আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- কলকাতা বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার খরচ কত জানেন?
তৃণমূলের দাপুটে নেতার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য চার চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছিল হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ হাসপাতালে ঢোকেন কেষ্ট। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা শুরু করেন চিকিৎসকরা৷ তাঁরা জানান, অনুব্রত এমন কোনও রোগে আক্রান্ত নন যে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে৷
এরপরেই তাঁকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার হওয়ার সময়ই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে লক্ষ্য করে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান।
এদিনবিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ভিড় জমিয়েছিল ইএসআই হাসপাতালের সামনে। তারাই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ‘গরু চোর’ বলে স্লোগান তোলে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণ ছাড়া যাঁরা হাসপাতালে জমায়েত করেছিলেন, তাঁদের সকলকেই সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা।
এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনুব্রতকে। সে কারণে সম্ভবত হাঁফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই তাঁকে ইনহেলার বের করে টানতে দেখা যায়৷ কলকাতা বিমানবন্দরে ইডির গাড়ি পৌঁছানোর পরই অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা দেখে অনুমান, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা বোধ করছেন তিনি৷ সেই কারণে তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে সরাসরি চেক ইন প্রসেসের জন্য না নিয়ে গিয়ে, বিমানবন্দরের ৩সি গেটের বাঁ দিকে দাঁড় করানো হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ইনহেলার নেওয়ার পর তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>