কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির রহস্য ভেদে খুলছে একের পর এক জট৷ প্রকাশ্যে উঠে আসছে একের পর এক নাম৷ নিয়মিত ভাবে গ্রেফতার হচ্ছেন কেউ না কেউ৷ শুক্রবারই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে গ্রেফতার হন হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শনিবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেই সময়ই বিস্ফোরক দাবি করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, এই শান্তনুই ছিলেন কুন্তলের ‘মেন্টর’!
আরও পড়ুন- গত ৯ মাসে চাকরিহারা কত? শুরুটা হয়েছিল মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে দিয়ে
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ৷ স্কুলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনেক আগেই ইডি আদালতে জানিয়েছিল, চাকরি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে। যার প্রমাণও পেয়েছে তারা।
শনিবার ইডি আদালতে জানা, শান্তনুর কথাতেই তাপস মণ্ডলকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিল কুন্তল ঘোষ। উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারাসতের শিক্ষক তাপস মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তাপস মণ্ডলই প্রথমে কুন্তল ও শান্তনুর নাম করে।
সেই সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তে নামে এবং প্রথমে কুন্তল, তারপর একে একে তাপস ও শান্তনুকে গ্রেফতার করা হয়। কীভাবে এই অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হত, সেই টাকা কীভাবে হাত ঘুরত সবটাই তদন্ত করে দেখছে ইডি। আদালতে এদিন ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, কালো টাকা সাদা করার জন্যেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা খাটানো হত।
যদিও আদালতে ঢোকার সময় শান্তনু নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন। বলেন, তিনি টাকা নেননি। শান্তনু আরও বলেন, জেলের ভিতর থেকে কেউ তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। সে কে? সে বিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি৷ তবে তাঁর এই দাবিকে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>