নয়াদিল্লি: দিল্লিতে ফের শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া৷ মঙ্গলবারা রাস্তার ধারে থাকা একটি ধাবা থেকে উদ্ধার তরুণীর মৃতদেহ৷ মৃতার নাম নিকি যাদব৷ দিল্লির নজফগড় এলাকায় রাস্তার ধারে থাকা ওই ধাবা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-এর দিন খুনের দায়ে গ্রেফতার হন তরুণীর লিভ ইন পার্নার সহিল গেহলট।
আরও পড়ুন- মহিলাদের বিরুদ্ধেও করা যেতে পারে গণধর্ষণের মামলা, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
প্রাথমিক তদন্তের পর সাহিল গেহলোটকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সাহিলের সঙ্গে ওই তরুণী লিভইন সম্পর্কে ছিল। সম্পর্কে থাকার পরেও সাহিল অন্যত্র বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। সেই খবর জানতে পেরেই আশান্তি শুরু করেন তরুণী। এর পরই পথের কাঁটা সরাতে মোবাইলের চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে লিভ ইন পার্টনারকে খুন করেন সাহিল।
অভিযুক্ত প্রেমিক সাহিলের দাবি, তাঁর পরিবার নিকিকে মেনে নিতে পারেনি৷ বদলে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করেন৷ বিয়ের জন্য তাঁকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। শেষে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এনগেজমেন্ট ও বিয়ের তারিখ ঠিক করা হয়। চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সাহিলের। তবে নিকির থেকে সে কথা লুকিয়ে রাখেন সাহিল। কিন্তু, অন্য এক বন্ধুর কাছ থেকে সাহিলের বিয়ের কথা জানতে পেরে যান নিকি। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি৷
বিয়ের বিষয়ে সহিলকে প্রশ্ন করতেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি বাধে। এর পর ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গাড়িতে রাখা ডেটা কেবল দিয়ে নিকির গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেন সাহিল৷ তাঁর দেহ নিয়ে নজফগড়ের ওই ধাবায় যান এবং সেখানে ফ্রিজে লুকিয়ে রেখে আসেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ১০ ফেব্রুয়ারি বর সেজে বিয়ে করতে যান সাহিল।
জানা গিয়েছে, সাহিলের বাড়ি নজফগড়ের মিত্রাওঁ গ্রামে৷ অন্যদিকে, মৃতা নিকি ছিলেন হরিয়ানার ঝাজ্জরের বাসিন্দা। পুলিশ জানতে পারে, নজফগড়ের মিত্রাওঁ গ্রামের একটি ধাবায় এক মহিলার দেহ ফ্রিজের ভিতর রয়েছে৷ তদন্তে নেমে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>