এলাহাবাদ: ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষরা অভিযুক্তের কাঠগড়ায় ওঠেন। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে এমনও কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি হয়। ঠিক এমনই ঘটনা হল মহিলাদের দ্বারা গণধর্ষণ। আর এই ইস্যুতেই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শুধু পুরুষ নয়, গণধর্ষণের মামলা দায়ের হতে পারে মহিলাদের বিরুদ্ধেও। এদিন এমনটাই জানিয়েছে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখরকুমার যাদবের একক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- ‘সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ভোলার নয়’, পুলওয়ামা শহিদদের স্মরণ প্রধানমন্ত্রীর
এই রায়ের পক্ষে ঠিক কী বলা হয়েছে? আদালতের বক্তব্য, একজন মহিলা কাউকে ধর্ষণ করতে পারেন না ঠিকই, কিন্তু অন্য একদল পুরুষের সঙ্গে মিলে তিনি যদি এই কাজ করেন বা গণধর্ষণে সাহায্য করেন, তাহলে সেই মহিলার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হতে পারে। অর্থাৎ কোনও মহিলা গণধর্ষণে সাহায্য করলেও তাঁকে অভিযুক্ত করা যেতে পারে। ২০১৩ সালে সংশোধিত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ এবং ৩৭৬(ই) ধারার নয়া ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। বিচারপতি এও জানিয়েছেন, গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে কটি ধারা আছে, সবগুলিতেই মহিলাদের যুক্ত করা যেতে পারে। কারণ এই ঘটনায় জড়িত ‘ব্যক্তিরা’ শুধুমাত্র পুরুষ হবেন এমনও কোথাও উল্লেখ করা নেই।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”স্বামীর গ্রেফতারির পরই জ্ঞান হারালেন রাখি! Rakhi Sawant faints after husband Adil’s arrest” width=”853″>
উল্লেখ্য, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী কোনও মহিলার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন বিরাট বড় অপরাধ। জোর করে বা ভয় দেখিয়ে এমন কাজ করার অর্থ ধর্ষণ। আর ২০১২ সালে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের পর ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে, বলে ৩৭৬ ই ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এই দুই ধারার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।