কলকাতা: একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে নাম জড়ানো সায়নী ঘোষ এখন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী৷ আসনসোল দক্ষিণ থেকে ভোট লড়ছেন তিনি৷ মাথায় রয়েছে ৮২ হাজার টাকা ঋণের বোঝা৷ হাতে নগদ ৩২ হাজার৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন পেশ করেছেন অভিনেত্রী৷ সেই সঙ্গে দিয়েছেন হলফনামাও৷ সেই হলফনামা অনুযায়ী দেখে নেওয়া যাক সায়নী ঘোষের বিষয় আশয়ের খতিয়ান৷
আরও পড়ুন- করোনা নিয়ে উস্কানিমূলক বার্তা! ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র পেজ থেকে পোস্ট সরানোর নির্দেশ কেন্দ্রের
২০১৯-২০ আর্থিক বছরে সায়নীর উপার্জন ছিল ৪৯ লক্ষ ২ হাজার ৫৬৮টাকা ৩২ পয়সা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় তাঁর হাতে ছিল ৩২ হাজার ৭৭৫ টাকা৷ বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টলিউডের জনপ্রিয় মুখ সায়নীর সঞ্চিত রয়েছে ১০ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮২৫ টাকা ৮ পয়সা৷ তবে শেয়ারবাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডে কোনও বিনিয়োগ নেই তাঁর৷ তবে জীবন বিমায় সায়নীর বিনিয়োগ ৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৬ টাকা৷
সায়নীর নামে রয়েছে একটি হুন্ডা জ্যাজ৷ ২০১৭ সালে এই গাড়িটি কিনেছিলেন তিনি৷ গাড়িটি কেনার সময় দাম পড়েছিল ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৬৯ টাকা৷ অভিনেত্রীর কাছে রয়েছে মাত্র ৪ গ্রাম সোনা৷ যার বাজার মূল্য ২৩ হাজার ১১২ টাকা৷ তাঁর নামে কোনও কৃষিজমি নেই৷ যাদবপুরে বহুতলে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট৷ ২০১৫ সালে ২৪ লক্ষ ১ হাজার টাকায় ৬৭০ বর্গফুটের এই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন সায়নী৷ যার বর্তমান বাজার দাম ৩৪ লক্ষ টাকা৷ তবে গাড়ি ও বাড়ির ঋণ এখনও পুরোপুরি শোধ হয়নি৷ গাড়ি-বাড়ি সহ মোট চারটি ক্ষেত্রে সায়নীর মাথায় ব্যাঙ্ক ঋণ রয়েছে ৬৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৫৬ টাকা ৫২ পয়সা৷ ব্যাঙ্কের বাইরেও ঋণ রয়েছে সায়নীয়। সব মিলিয়ে বাজারে মোট ৮৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৫১ টাকা ৫২ পয়সার ঋণ আছে আসানসোল দক্ষিণে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীর৷
আরও পড়ুন- শহরের অধিকাংশ হাসপাতালের অমিল করোনা বেড! হাহাকার সর্বত্র
হলফনামায় পেশা হিসাবে নিজেকে অভিনেত্রী বলেই উল্লেখ করেছেন সায়নী ঘোষ৷ তাঁর উপার্জনের উৎস হিসাবে অভিনয়ের পারিশ্রমিক এবং বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া আয়ের কথাই উল্লেখ করেছেন তিনি৷ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক৷ একুশের ভোটে তাঁর লড়াই বিজেপি’র অগ্নিমিত্রা পাল এবং সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিক সিপিএম প্রার্থী প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে।