কলকাতা: ‘পিরিতি কাঁঠালের আঠা, ও আঠা লাগলে পরে ছাড়েনা…’৷ সত্যিই বুঝি তাই৷ তাই তো ভালোবেসে আক্ষরিক অর্থে প্রেমিক হয়ে উঠলেন তিনি৷ মীরার অবয়ব ছেড়ে হলেন আরভ৷ শুরু করলেন নতুন জীবন৷
আরও পড়ুন- আদবানির জন্মদিনে বাড়িতে হাজির মোদী, প্রশংসায় পঞ্চমুখ বর্ষীয়ান নেতার
রাজস্থানের শিক্ষিকা মীরা একজন নারী হলেও, তিনি ভালোবেসে ফেলেন তাঁরই ক্লাসের এক ছাত্রীকে৷ মনস্থির করেন, বিয়ে করলে তাঁকেই করবেন৷ এর পরেই শুরু হয় নারী থেকে পুরুষ হয়ে ওঠাল লড়াই৷ লিঙ্গ পরিবর্তন করে মীরা থেকে আরভ হয়ে ওঠেন ভালোবাসার টানে৷ তাঁর নয়া পরিচয় আরভ কুন্তল৷ সম্প্রতি সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন রাজ্য স্তরের কবাডি খেলোয়াড় কল্পনা ফৌজদারের সঙ্গে৷ আপাতত সুখের সংসার শিক্ষক-ছাত্রীর৷ কিন্তু কী ভাবে শুরু হয়েছিল এই প্রেমের কাহিনি?
রাজস্থানের শিক্ষিকা মীরার শারীর শিক্ষার ক্লাসের ছাত্রী ছিলেন কল্পনা। তিনি আবার রাজ্য স্তরের কবাডি খেলোয়াড়৷ ট্রেনিং দিতে গিয়েই তাঁর প্রেমে পড়েন শিক্ষিকা। ধীরে ধীরে একে অপরের কাছে আসেন৷ ২০১৬ থেকে দুজনের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। ২০১৮ সালে বন্ধুত্বের গণ্ডী পেরিয়ে কল্পনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন মীরা। কল্পনাও তাতে সম্মতি জানান। কিছু দিন মেলামেশার পর মীরার তরফে আসে বিয়ের প্রস্তাব৷ কল্পনাকে নিজের করে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি৷ তাই আর সাত পাঁচ ভাবা নয়৷ কল্পনার প্রেমে পাগল মীরা নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। মীরা থেকে হয়ে ওঠেন আরভ। এরপর মধুরেণ সমাপয়েৎ। গত রবিবার ধুমধাম করে বিয়ে হয়ে যায় কল্পনা আর আরভের। শিক্ষিকা থেকে শিক্ষক হয়ে ওঠা আরবের সঙ্গে ছাত্রীর এই ভালবাসাকে স্বীকৃতি দেয় দুই পরিবার।
এই ঘটনাটি রাজস্থানের ভরতপুরের৷ শিক্ষকা ও ছাত্রীর এই প্রেম কাহিনী এখন নেট পাড়ার হট কেক৷ তাঁদের প্রেমের কিস্সায় মজে নেটপাড়া। সাত পাকে বাঁধা পরে আরভ বলেন, ‘‘ভালবাসার জন্য সবকিছু করা যায়। সেই কারণেই আমি নিজের লিঙ্গ বদল করেছি।” সেই সঙ্গে আরভ আরও জানান, বরাবরই ছেলে হওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। নারী শরীর নিয়ে জন্মালেও মন ছিল পুরুষের৷ নিজেকে পুরুষ বলে ভাবতে ভালো লাগত তাঁর৷ অরভের কথায়, ‘‘বরাবর নিজেকে ছেলে হিসেবে ভেবে এসেছি। অস্ত্রোপচার করানোরও ইচ্ছাও ছিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার প্রথম অস্ত্রোপচার হয়।২০২১ সালে শেষ সার্জারি হয়৷’’
এই প্রেম কিন্তু এক তরফা ছিল না৷ কল্পনাও মজেছিলেন মীরার প্রেমে৷ শিক্ষিকার সঙ্গে মন বিনিময় হয়েছিল তাঁর। কল্পনার কথায়য়, ‘‘লিঙ্গ বদল না করালেও আমি মীরাকেই বিয়ে করতাম৷ শুরু থেকেই আমি ওঁকে ভালবেসে এসেছি৷ অস্ত্রোপচারের সময়েও ওঁর পাশে থেকেছি।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>