কলকাতা: শীতলকুচি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন৷ এর পরেই আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তিনি৷ বললেন লঘু পাপে গুরুদণ্ড দিয়েছে কমিশন৷
আরও পড়ুন- বিদায়বেলায় শেষ সিদ্ধান্ত অরোরার! মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা!
এদিন রাহুল সিনহা বলেন, ১০ তারিখ প্রথমবার ভোটের লাইনে দাঁড়ানো আনন্দ বর্মাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীরা৷ তাঁকে খুন করার পর লাগাতার মানুষের উপর ইঁট-পাটকেল, বোমা ছুড়তে শুরু করে ওরা৷ পরিস্থিতি এমন হয় যে সেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জীবন সঙ্কটে পড়ে যায়৷ বাধ্য হয়েই গুলি চালায় তারা৷ তাতে মৃত্যু হয় চার জনের৷
নিরাপত্তবাহিনী যদি গুলি না চালাত, তাহলে বহু জওয়ানের মৃত্যু হত৷ এই ভাবনা থেকেই বলেছিলাম যারা ভোট লুঠ করবে, ভোটের লাইনে গুলি চালাবে, মানুষকে ভোটে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে করা পদক্ষেপ করতে হবে৷ চার জনের বদলে আটজন মরলে কী আসে যায়৷ এই মন্তব্যের জেরেই তাঁর প্রচারে ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন৷ তবে এদিন রাহুল সিনহা বলেন, আমার যে কর্মসূচি ছিল, তাই চলবে৷ শুধু ব্যক্তিগত ভাবে আমি ভোট চাইতে যাব না৷
তাঁর কথায়, তাঁর দোষ না থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তাঁর উপর এই আদেশ জারি করেছে৷ তবে তিনি গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেন৷ সংবিধানকে মান্য করেন৷ নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রেরই একটি স্তম্ভ৷ সে কারণেই কমিশনের আদেশ হতাশাজনক হলেও, তা মাথা পেতে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এই আদেশ লঘু পাপে গুরুদণ্ড৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন, তার পর ওঁনার প্রচারে মাত্র ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছে৷ অথচ আমার উপর ৪৮ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আমার অপরাধ অনেক কম৷
আরও পড়ুন- ‘ঠেঙিয়ে পগার পার’ মন্তব্যে বিপাকে অনুব্রত, কমিশনের শোকজ
রাহুলের অভিযোগ, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের জন্য আক্ষেপ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু বরণ করা ওই সাধারণ যুবক সম্পর্কে কোনও কথা বলেননি তিনি৷ অথচ এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল আশ্রীত দুষ্কৃতীদের হাতে৷