রায়না: শীতলকুচি নিয়ে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি৷ চলছে একে অপরকে দোষারোপের পালা৷ এরই মধ্যে আজ রায়নার সভা থেকে ৬ মাস আগে সায়ন্তন ঘোষের বক্তব্য তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ৬ মাস আগেই সায়ন্তন ঘোষ বলেছিলেন সিআরপিএফকে বলব গুলিটা যেন বুক লক্ষ্য করে চালায়৷ পা লক্ষ্য করে না৷ ফলে কার প্ররোচনায় শীতলকুচিতে এই ঘটনা ঘটেছে তা স্পষ্ট৷ অন্যদিকে, শীতলকুচি নিয়ে রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়েও আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- গোর্খাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে, NRC নিয়েও বড় আশ্বাস অমিত শাহের
এদিন তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালালে হাত-পা লক্ষ্য করে চালাতে পারত৷ কিন্তু পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বুকে গুলি করা হয়েছে৷ তখন প্রশ্ন ওঠে কার নির্দেশে, কার প্ররোচনায় গুলি করা হল? গতকাল দিলীপ ঘোষ বরানগরের সভা থেকে বলছেন, ‘দেখেছেন শীতলকুচিতে কী হয়েছে৷ জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে৷’ অভিষেক বলেন, উনি বাঙালীর নামে লজ্জা৷ আগামী দিনে বাঙলাকে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের হাতে তুলে দিতে চাইছে৷ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ন্যূনতম মনুষ্যত্ব বা বিবেক বোধ থাকলে দিলীপ ঘোষ আর রাহুল সিনহাকে দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত৷
তাঁর কথায়, নেতাই, নন্দীগ্রামের পর এই ধরনের গণহত্যা প্রথম৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ বছরের শাসনে এমনটা কোনও দিনও হয়নি৷ এই কেন্দ্রীয় সরকার যবে থেকে ক্ষমতার এসেছে, তবে থেকে প্রতিটা রাজ্যে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছে৷ এখন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের৷ কোচবিহারের এসপিকে বদলেছে নির্বাচন কমিশন৷ রাজ্যের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, ডিজিপিকে বদলে দিয়েছে৷ আর এর পর রাজ্যে পাঁচজন বাঙালীকে হত্যা করা হল৷ তাই আগামী ১৭ তারিখ বুলেটের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে হবে৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর জবাবে ‘সন্তুষ্ট’ নয় কমিশন, সতর্ক করা হল তাঁকে
প্রসঙ্গত, গতকাল বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পর্ণো মিত্রর সমর্থনে আয়োজিত জনসভায় বিতর্ক উস্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলায় দুষ্টু ছেলেরা বুঝে গিয়েছে যে বাহিনীর গুলির কত জোর। এরপরে যারা বেশি বাড়াবাড়ি করবে তাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করা হবে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে বলেও হুঙ্কার দেন তিনি। অন্যদিকে, রাহুল সিনহা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল! কেন চার জনকে মারল, তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত।