ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে নথিই দেয়নি CBI, নিম্ন আদালতে কমিশন, টেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা

ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে নথিই দেয়নি CBI, নিম্ন আদালতে কমিশন, টেট বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেও মামলা

কলকাতা: স্কুলে ভুয়ো নিয়োগ কত? নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে সেই তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ঠিক কত, তা এখনও পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি৷ হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি কমিশনের ডাকা বৈঠকেও ওই সংখ্যার হদিশ মেলেনি৷ কমিশনের দাবি, ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই কোনও নথি জমা দেয়নি৷ ফলে বৈঠকেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন- বঙ্গে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জল্পনা

এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর বক্তব্য, স্কুল শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে৷ সেই মামলার তদন্ত চলছে৷ মামলাটি দায়রা আদালতে বিচারাধীন। সিবিআই-এর হাতে যে নথি রয়েছে, তা ‘এভিডেন্স’ হিসাবে জমা রাখতে হয়েছে। তাই এবার নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে কমিশন।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় ভুয়ো নিয়োগ কত, সেই সংখ্যাটা খুঁজে বার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ বলা হয়, পর্ষদের আইনজীবী, সিবিআই-এর আইনজীবীদের উপস্থিতিতে আধিকারিকরা বৈঠক করে বেআইনি নিয়োগের সংখ্যাটা খুঁজে বার করতে হবে।  কিন্তু, ভুয়ো প্রার্থীর খোঁজে  একাধিকবার বৈঠক হলেও সেই তালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

তবে সিবিআই-এর দেওয়া আগের তথ্য অনুসারে, ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ৮,১৬৩। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিক শিক্ষক এবং গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে, এসএসসি-র নিজস্ব তদন্ত অনুসারে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা মাত্র ১,১৭৯। ফলে সংখ্যা নিয়ে একটা ধন্দ তৈরি হয়েছে।

এদিকে, প্রাথমিকের টেট নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৪-র টেটে প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে প্রথম থেকেই৷ সেই মামলা সমাধানের আগেই কেন নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল, তা নিয়েই মামলা করা হয়েছে। তবে ওই টেট পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা অনেকটা বাকি৷ সেই কারণে অবকাশকালীন বেঞ্চ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চে  মামলা উঠলে আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়,পুজোর ছুটির পরে হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।