পর্ন তারকার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম, পালিয়ে বিয়ে, যৌন একঘেয়েমি কাটাতে পতি-পত্নীর ঘরে এলেন ‘ওহ’

পর্ন তারকার সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম, পালিয়ে বিয়ে, যৌন একঘেয়েমি কাটাতে পতি-পত্নীর ঘরে এলেন ‘ওহ’

 কলকাতা: কথায় বলে, ‘যার সাথে যার মজে মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম৷’ সত্যিই বুঝি তাই৷ প্রেমে পড়লে মানুষ ‘অন্ধ’ হয়ে যায়৷ ভালোবাসার মানুষের জন্য কী না করে তাঁরা! কিন্তু তাই বলে পর্ন তারকার সঙ্গে প্রেম?  প্রেম হয় তো করাই যায়, কিন্তু সংসার! মনের মানুষটি পর্ন তারকা জানার পরেও সারা জীবনের জন্য তাঁর হাত ধরার ক্ষমতা সকলের থাকে না৷ তবে এমনটা করে দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ডের এক তরুণী। নাম ক্যাটি স্কিটস জোনস। স্ক্যাটির স্বামী রব ব্যাম্পটন একজন পর্ন তারকা৷ নীল ছবির দুনিয়ায় যাঁর অন্তহীন আনাগোনা। সেই রব জীবনে থিতু হলেন এমন এক তরুণীর হাত ধরেছেন, যিনি কখনও ভাবেননি যে, কোনও পর্ন তারকা তাঁর জীবনসঙ্গী হবে৷ 

আরও পড়ুন- ‘সাইবেরিয়ায় বরফের নীচে মিলেছিল হদিশ, ২৪ হাজার বছর পর বেঁচে উঠল ‘ডেলয়েড রটিফার’

আলাপ হওয়ার মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২৯ বছরের ক্যাটি ও ৩৭ বছরের রব। স্বামীর পর্ণ তারকা জানার পরও তাঁর পেশা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত নন ক্যাটি। পর্দায় একের পর এক রমনীয় সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন বর৷ তবে সেই মিলনের আঁচ তাঁদের অন্দরমহলে লাগতে দেননি ক্যাটি। বরং স্বামীর পেশাকে সম্মানের চোখেই দেখেন তিনি।

আলাপের ৬ সপ্তাহের মাথায় ক্যাটিকে যখন বিয়ের প্রস্তাব দেন রব, তখন এক কথায় ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন ক্যাটি। আর প্রেম নিবেদনের ৪ সপ্তাহের মাথায় পালিয়ে বিয়ে করে এই সাভ বার্ডস।

পর্ন তারকার গলায় বরমাল্য দেওয়া সহজ ছিল না ক্যাটির কাছে৷ সমাজ না জানি কত কথা শোনাবে! কিন্তু সে সবের পরোয়া করেননি তিনি৷ তাঁর কাছে ভালবাসা সবকিছুরই ঊর্ধ্বে। আর পাঁচ জন তরুণ-তরুণীর মতোই একরাশ স্বপ্ন বুকে নিয়ে সংসার পাতেন ক্যাটি ও রব। 

ডেলি স্টারকে নিজেদের প্রেমকাহিনি প্রসঙ্গে ক্যাটি বলেছেন, ‘‘প্রতিটি সম্পর্ক এক রকম হয় না৷ আমি রবকে সম্মান করি। আমি জানি ওর পেশা কী। ওকে কী করতে হয়। কিন্তু ও কখনই আমাকে ঠকায় না।’’ ক্যাট ও রব যে অটূট বন্ধনে আবদ্ধ৷

জুটি বেঁধে বেশ ভালই সংসার সামলাচ্ছিলেন তাঁরা৷ কিন্তু সুখী দাম্পত্যে দেখা দিচ্ছিল  একঘেয়েমি৷ হাতছানি দিচ্ছিল অন্য রোমাঞ্চ। আর এখানেই রয়েছে টুইস্ট৷ সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করতে এক তৃতীয় মানুষের খোঁজ শুরু করলেন তাঁরা। শুরু হল ‘পতি, পত্নী অউর ওহ’।

রব ও ক্যাটি দু’জনেই চেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কের মধ্যে একজন তৃতীয় ব্যক্তি আসুক। যৌনজীবনের রোমাঞ্চকে উস্কে দিতেই তৃতীয় এক নারীকে নিজেদের ঘরে আনলেন রব ও ক্যাটি। তাঁর নাম মদিনা।

রব-ক্যাটির যৌনজীবনে বাড়তি উদ্দীপনার রসদ এখন মদিনাই। তিনে মিলে বেশ ফুরফুরে জীবন উপভোগ করছেন। তিন জনই একে অপরকে বেশ পছন্দ করেন। তাই বোধ হয় আরও জোরাল হয়েছে ত্রয়ীর বন্ধন৷ তবে জীবনে তৃতীয় নারীর আগমন ঘটলেও রব ও ক্যাটির দাম্পত্য প্রেমে ভাটা পড়েনি। বরং নতুন রোমাঞ্চে গা ভাসিয়েছেন তাঁরা। একে অপরকে সুখী রেখেই তাঁরা ভাল থাকতে চান। ভালো থাকতেই এই রোমাঞ্চকর জীবন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন রব, ক্যাটি ও মদিনা।

তবে রব বহুগামী৷ তিনি সেক্স পার্টিতেও যান৷ স্ত্রীকে নিয়ে এক বার এক ‘সেক্স পার্টি’তে গিয়েছিলেন রব। সেই পার্টি দেখে তাঁরা দু’জনেই এতটা মোহিত হয়েছিলেন যে, পরের বছর নিজেরাই এমন পার্টির আয়োজন করেন। ‘সেক্স পার্টি’, স্ত্রী ও পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ-সব মিলিয়ে রোমাঞ্চে ভরা জীবন  রবের। জীবনটাকে অন্য রকম ভাবে উপভোগ করতে স্বামীর পাশে রয়েছেন স্ত্রী ক্যাটিও।