প্রাক্তন সেনার হাতে বন্দী ‘যৌন দাস’, মেয়েদের খাঁচায় আটকে রেখে মেটাত যৌন লালসা!

প্রাক্তন সেনার হাতে বন্দী ‘যৌন দাস’, মেয়েদের খাঁচায় আটকে রেখে মেটাত যৌন লালসা!

সিডনি: সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ভুত৷ মহিলাদের বন্দী বানিয়ে তাঁদের যৌন দাস করে রাখার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন সেনাকর্মীর বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ল ফেলে দিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন-  চিনে যেতে হলে নিতে হবে চিনা ভ্যাকসিনই! নয়া নির্দেশিকা জারি করল বেজিং

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন সেনাকর্মী জেমস রবার্ট ডেভিস তাঁর নিউ সাউথ ওয়েলসের বাড়িতে বেশ কিছু মহিলাকে দীর্ঘ দিন ধরে যৌন দাস করে রেখেছিলেন৷ তাঁদের গলায় স্টেনলেস স্টিলের স্ট্র্যাপ বেঁধে ধাতব খাঁচায় বন্দী করে রাখা হত৷ শুধু তাই নয়, তিনি জোড় করে ওই মহিলাদের পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করতেন৷ বৃহস্পতিবার জেমস রবার্ট ডেভিসের গ্রামের বাড়িতে হানা দিয়ে একেবারে হতবাক হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ৷ তাঁর বাড়ির ভিতর থেকে এমন কতগুলি খাঁচা উদ্ধার করা হয়, যেখানে তিনি ওই মহিলাদের পশুর মতো বন্দী করে রাখতেন৷ পুলিশের কথায়, অভিযুক্ত নিজেকে হাউজ অফ ক্যাডিফারের প্রধান বলে উল্লেখ করতেন৷ কোনও না কোনও অজুহাতে তিনি মহিলাদের এখানে এনে বন্দী করে রাখতেন৷ তারপর তাঁদের উপর চলত শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার৷ ডেভিসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

জেমস রবার্টের কবজা থেকে উদ্ধার হওয়া এক মহিলা জানান, ডেভিস সমস্ত মেয়েদের যৌন দাস হিসাবে ধরে আনত৷ তারপর তাঁদের গলায় স্টেনলেস স্টিলের ট্র্যাপ পরিয়ে খাঁচায় বন্দী করে রাখত৷ তাঁদের খাঁচার মধ্যে থাকতে বাধ্য করা হত৷ ফেডারেল পুলিশ ডেভিসের বাড়ির ছবিও প্রকাশ করেছে৷ ডেভিসের বাড়ি এত বড় এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে যে গোটা বাড়ি তল্লাশি চালাতে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগেছিল পুলিশের৷ পুলিশ আরও জানিয়েছে, ডেভিসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এমন চারটি বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে, যার উপর মহিলাদের নাম খোদাই করা ছিল৷ এছাড়াও বাড়ির ভিতর থেকে যৌন সম্পর্কিত জিনিসও পাওয়া গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- জানুয়ারিতে বাঁধা দিয়েছিল করোনা, এপ্রিলেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

অভিযুক্ত ডেভিস প্রায় ১৭ বছর অস্ট্রেলিয়া নারাপত্তাবাহিনীতে কাজ করেছেন৷ পুলিশের নথি অনুসারে, ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ডেভিসের বিরুদ্ধে মহিলাদের যৌন দাস করে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ডেভিস বন্দী বানানো মেয়েদের দিয়ে বেশ্যাবৃত্তি করাতে বাধ্য করতেন৷ এবং এই সমস্ত কাজ চলত তাঁর তত্ত্বাবধানে৷ কিন্তু এর বিনিময়ে মহিলাদের কোনও অর্থ দেওয়া হত না৷ বরং তাঁদের প্রাণে মেনে ফেলার হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে রাখা হত৷ 

ডেভিসের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসাবে পুলিশ বেশ কয়েকটি ফোন, ক্যামেরা এবং কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই মহিলারা তাঁদের নিজের ইচ্ছাতেই ডেভিডের সঙ্গে রয়েছেন, তা প্রমাণ করার জন্য একটি চুক্তিতে তাঁদের দিয়ে জোড় করে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হত৷ ডেভিস নিজেকে অভিনেতা,  ফটোগ্রাফার, লেখক,  শিক্ষাবিদ এবং কনসেন্ট অ্যাডভোকেট হিসাবে উল্লেখ করতেন।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =