লন্ডন: প্রজাতন্ত্র দিবসেই ভারতে পা রাখার কথা ছিল তাঁর, কিন্তু বাঁধ সেধেছিল করোনা ভাইরাস। করোনার নতুন স্ট্রেনের নতুন সংকটের মুখে দেশকে ফেলে ভারতে আসতে পারেননি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই রেশ কাটিয়ে উঠতে লেগে গেল ৩ মাস। আগামী মাসে ভারত সফরে আসার কথা জানালেন বরিস জনসন।
এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ভারত সফরে আসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, এদিন এমনটাই জানিয়েছে তাঁর অফিস। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পর এটাই হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বড়সড় বিদেশ সফর। এপ্রিল মাসের শেষে ভারতে আসার কথা জানালেও ঠিক কবে এদেশে পা রাখবেন বরিস জনসন, এখনও পর্যন্ত যা জানানো হয়নি। ইউরোপীয় প্রদেশে ইংল্যান্ডের সুযোগ সুবিধা আরো বাড়ানোই বরিস জনসনের উদ্দেশ্য, জানিয়েছে তাঁর অফিস। এর আগে জানুয়ারি মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যে ভারত সফরের কথা ঠিকঠাক করা হয়েছিল, তখন এদেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু করোনা টেমস তীরে সংক্রমণ আচমকা বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সেই সফর বাতিল করা হয়েছিল।
বস্তুত, আগামী জুন মাসে ব্রিটেন পৃথিবীর সাতটি ধনী দেশের প্রধানদের সঙ্গে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারতে আগ্রহী বরিস জনসন।
ঠিক কী কী আলোচনা হবে আসন্ন এই বৈঠকে? জানা গেছে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাই বৈঠকের মূল ফোকাসে থাকতে চলেছে। এই এলাকা যে দিন দিন বিশ্বের জিওপলিটিক্যাল কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেও ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা নিয়ে একাধিক বার একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।