আগরতলা: প্লাস্টিকের ডিম, প্লাস্টিকের চাল, প্লাস্টিকের আটার পর এবার হদিশ মিলল প্লাস্টিকের ওষুধের৷ ঘটনাটি ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া এলাকার৷ যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷
আরও পড়ুন- ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! টাটা গোষ্ঠীর হাতেই ফিরল এয়ার ইন্ডিয়া
জানা যায়, তেলিয়ামুড়া শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ রায় তেলিয়ামুড়া স্থানীয় জনপ্রিয় ফার্মেসি থেকে USB Pvt.Ltd-এর GLYCOMET-1GM নামক মধুমেহ রোগের ওষুধ কিনে বাড়ি নিয়ে যান। সকালে খাওয়া দাওয়ার পর ওষুধ খান৷ কিছুক্ষণ পর থেকেই পেট ব্যাথা শুরু হয়। দুপুরে প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্ম করার সময় সকালে সেবন করা সেই GLYCOMET-1GM নামক ওষুধটি আস্ত বেরিয়ে আসে।
বিষয়টা দেখার পর প্রসেনজিৎ রায়ের সন্দেহ হয়। তারপর তিনি ওষুধটিকে আগুন দিয়ে পরীক্ষা করেন৷ জলে দিয়েও পরীক্ষা করেন। প্রসেনজিৎ জানান, তিনি যখন আগুন নিয়ে পরীক্ষা করেন তখন ওষুধ গলতে শুরু করে। এতে করে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তখন তিনি ওষুধগুলো নিয়ে পুনরায় ওই ওষুধের দোকানে যায়। ওষুধের দোকানের মালিককে গিয়ে এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবেন না। কারণ তারা আগরতলার দুইটি নামিদামি ঔষধের দোকান থেকে পাইকারি দরে ওষুধ কিনে আনেন।
আগরতলার USB Pvt.Ltd নামক কোম্পানির অথরাইজড ডিলার বরুণ ফার্মেসি এবং পাল মেডিকেল। সবাই এই কোম্পানির ওষুধগুলো আগরতলার নামিদামি এই দুই ওষুধের দোকান থেকেই কিনে আনে পাইকারি দরে। তবে জনপ্রিয় ফার্মেসির দোকান মালিক সুজিত কুমার বণিক আরও জানিয়েছেন, যেহেতু ওষুধের ক্যাশম্যামো নেওয়া হয়নি, সেহেতু তিনি সঠিকভাবে বলতে পারছেন না যে উনার দোকান থেকে ওষুধগুলো কিনেছেন কিনা। তবে দোকান মালিক সুজিত কুমার বণিক জানিয়েছেন, যদি ওষুধের ব্যাচ নম্বর দেওয়া হয়, তবে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে খতিয়ে দেখবেন।
আরও পড়ুন- ‘ভাবতেই পারিনি কখনও প্রধানমন্ত্রী হব’, আবেগতাড়িত মোদী
তবে ওষুধের ক্রেতা প্রসেনজিৎ রায়ের বক্তব্য, তিনি তেলিয়ামুড়া স্থানীয় জনপ্রিয় ফার্মেসী থেকে ওষুধগুলো ক্রয় করেছেন। তবে যে ওষুধ সেবন করে শত শত মানুষের জীবন রক্ষা হয়, সেই ওষুধ প্লাস্টিকের হওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাতে গোটা তেলিয়ামুড়া শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যার জেরে এখন অসুস্থ রোগীরা নিজেদের জীবন বাঁচাতে ওষুধ সেবন করতেও ভয় পাচ্ছেন।