নয়াদিল্লি: চা বিক্রেতা থেকে শুরু করেছিলেন, পরে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং এখন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে নিয়ে রোজই নতুন করে যেন চর্চা হয়। কিন্তু যাকে নিয়ে এত আলোচনা সে নিজেকে কখনো ভেবেছিল এই জায়গায় পৌঁছাতে পারবে? স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী বলছেন, তিনি কখনও ভাবতেই পারেননি যে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন একদিন। নিজের রাজনৈতিক পথচলার দু’দশকের পূর্তিতে আবেগপ্রবণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রতি দেশজুড়ে ৩৫ টি রাজ্যে ৩৫ টি অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন করেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যত আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, বহু দশক আগে তিনি জনকল্যাণের কাজ শুরু করেছিলেন এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। দীর্ঘ সময় অতিক্রম করার পর অবশেষে তিনি জনতার সমর্থনে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি স্বপ্নেও কোনও দিন কল্পনা করতে পারেননি যে একদিন এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন বা হবেন। মোদীর কোথায়, ২১ বছর প্রশাসক জীবন পার করায় তিনি অত্যন্ত খুশি। পরবর্তী কয়েক বছরে তিনি মানুষের সেবা করে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে দারুন ভাবে কাজ করেছে তাও ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতের কী ক্ষমতা রয়েছে তা সারা বিশ্বের দরবারে এখন প্রমাণিত। আগে চিকিৎসা সরঞ্জামের বেশিরভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো কিন্তু এখন সেগুলি দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। এখন ভারত সেই জিনিসগুলো বিদেশে রপ্তানি করে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতকে গোটা বিশ্বের ‘ফার্মাসি’ বলে অভিহিত করেছে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বের কাছে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে ভারত। অতিমারির মধ্যে ভারত যে প্রশংসা তাদের কাছ থেকে পেয়েছে তা অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খুব শীঘ্রই ভারত টিকাকরণে ১০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে ফেলবে। কয়েক মাস আগেই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ১০০ কোটি ভারতবাসী ভ্যাকসিন পাবে। এখন সেই লক্ষ্যমাত্রা শুরুতে আর হয়তো কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৯৩ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।