১৪ বছর পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে নন্দীগ্রামের মানুষ, বললেন মীনাক্ষী

১৪ বছর পর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে নন্দীগ্রামের মানুষ, বললেন মীনাক্ষী

কলকাতা: দ্বিতীয় দফার ভোটে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম৷ এই কেন্দ্রে একদিকে ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে ছিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তবে তাঁদের মাঝে আরও একটি মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল, আর সেটা হল সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়৷ দুই হেভিওয়েটকে টক্কর দিতে বামেদের হাতে তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন এই তরুণ মুখ৷ কিন্তু কেমন হল নন্দীগ্রামের ভোট? কী তাঁর অভিজ্ঞতা? 

আরও পড়ুন- ‘এত সুন্দর হাত!’ টিকা নিয়ে বুঝতেই পারলেন না অনুব্রত

এদিন সাংবাদিক সম্মলনে এসে মীনাক্ষী বলেন, ১৪ বছর পর ভোট দিতে পেরেছে নন্দীগ্রামের মানুষ৷ গত ১৪ বছর যাঁরা গণতন্ত্রের অংশ হতে পারেনি৷ ভোট দিতে পারেনি৷ দু-দুটো পঞ্চায়েত ভোট হয়নি এখানে৷ মানুষের মনে সেই ক্ষোভটা ছিল৷ তিনি বলেন, এর আগে মানুষ ভয়ে ভোট দিতে পারেনি৷ পঞ্চায়েত ভোটে চরম হিংসা দেখতে হয়েছে৷ আমরা মানুষের মধ্যে থেকে সেই ভয় দূর করতে পেরেছি৷ আর এই ভয় দূর করার পর নন্দীগ্রাম থেকে যেটা উঠে এসেছে সেটা লড়াই৷ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট রুখে মানুষ নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করেছে৷

মীনাক্ষী বলেন, এখানে দীর্ঘ দিন কোনও উন্নতি নেই৷ চাকরি নেই৷ শিক্ষিত যুবকরা বেকার হয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে৷ ক্ষমতায় এলে এই অবস্থার বদল ঘটাতে চায় সংযুক্ত মোর্চা সরকার৷ তৃণমূলের সন্ত্রাস, নীতিজ্ঞানহীনতা এবং বিজেপি’র বিভাজনের রাজনীতি উপর থেকে মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে৷ তিনি বলেন, গত ১৪ বছর এখানে মানুষের কথা শোনার জন্য কেউ ছিল না৷ সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ভোট হয়ে গিয়েছে৷ জীবন সংগ্রামে, রুজি রুটিতে কষ্টের মধ্যে আছে নন্দীগ্রাম৷ তবে সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোট, অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রশাসনিক ক্ষমতা দখলের যে রাজনীতি হয়েছে, এবার তাঁর বিরুদ্ধে মানুষ মাঠে নেমেছে৷  

আরও পড়ুন- পাচ্ছেন না সঠিক ভোটিং সামগ্রী, চূড়ান্ত অব্যবস্থায় পড়েছেন ভোট কর্মীরা! অভিযোগ কমিশনে

তাঁর কথায়, দলের নির্দেশে আমি নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম৷ কিন্তু সেখানে লড়েছে সংযুক্ত মোর্চা৷ নন্দীগ্রামে কাজ কারবার, শান্তি, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে লড়াই করেছি আমরা৷ রাজনীতির আঙিনায় প্রত্যেকটা দিনই আমাদের কাছে শিক্ষনীয়৷ নবান্ন অভিযান, ধর্মঘটে বামেদের ভূমিকা থেকে ব্রিগেড সমাবেশ৷ পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈনিক উন্নতি না হলে পশ্চিম বাংলার মানুষ ভালো থাকতে পারবে না৷ আমাদের দলে নীতি কথা বলে৷ কোনও মুখ নয়৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =