কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছিল ইডি-র৷ তার ভিত্তিতেই সোমবার ইডির দফতরে তলব করা হয় তাঁকে৷ সূত্রের খবর, সোমবার রাতভর দফায় দফায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গোটা রাত কেটেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরেই৷ আজ, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ইডির দফতর থেকে তাঁকে কেউ বেরোতে দেখেননি। একটি সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, মধ্যরাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পার্থের জামাইকে৷ তবে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর অফিসাররা।
আরও পড়ুন- বাড়ছে চাপ, সাংসদপদ খারিজ নিয়ে দিল্লিতে তলব শিশির অধিকারীকে, সশরীরে হাজিরার নির্দেশ
নির্দেশ মতো সোমবার দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সেখান আসার পর থেকেই দফায় দফায় তাঁকে জেরা করেছেন ইডির কর্তারা৷ চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। এর আগেও দু’বার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল কল্যাণময়কে। তবে দু’বারই হাজিরা এড়ান তিনি। মেল পাঠিয়ে ইডি-কে জানান বিদেশে আছেন৷ রবিবার রাতেই দেশে ফেরেন কল্যাণময়৷ সোমবার দুপুরে হাজিরা দেন ইডি-র দফতরে। তাঁর আসার আগে থেকেই পার্থর জামাইয়ের জন্য প্রশ্নপত্র সাজিয়ে রেখেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা
সোমবার দুপুরে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা গেলও, রাতে সেখান থেকে বেরননি কল্যাণময়৷ ফলে ১৭ ঘণ্টা ধরে সেখানেই রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রীর জামাই। উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াত স্ত্রীর স্মৃতিতে তৈরি স্কুলের ডিরেক্টর কল্যাণময়। ওই স্কুলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্তত ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে ইডি সূত্রে দাবি। অথচ খাতায় কলমে দেখানো হয়েছে বিনিয়োগের পরিমাণ ৪.৩৫ কোটি৷ এই বিষয়ে দফায় দফায় প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁকে। এই বিপুল টাকার উৎস কী, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শেয়ার কেনাবেচা ও জমি ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কল্যাণময়ের যোগসূত্র মিলেছে বলেও ইডি সূত্রে খবর।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>